স্টাফ রিপোর্টার: ভারতী ঘোষের দেহরক্ষী সুজিত মণ্ডলের বিরুদ্ধে ফের নতুন করে মামলা দায়ের করল সিআইডি৷ শুরু হয়েছে তদন্তও৷ মেদিনীপুরের প্রাক্তন পুলিশ সুপারের দেহরক্ষী-সহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে ঘাটাল থানায়৷ দেহরক্ষী সুজিত মণ্ডল ছাড়াও দাসপুরের বাসিন্দা দিলীপ গুছাইত, তরুণ দাস ও ঘাটালের প্রবীর মাঝির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থা৷ সকলেই ভারতী ঘোষের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে জানা গিয়েছে৷
[খারাপ আবহাওয়ার জেরে ফের বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবি, নিখোঁজ ৭ মৎস্যজীবী]
একসময়ে এ রাজ্যের অত্যন্ত দাপুটে আইপিএস ছিলেন ভারতী ঘোষ৷ তাঁকে পছন্দ করতেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং৷ একইসঙ্গে মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামের পুলিশ সুপারের দায়িত্ব সামেলেছেন ভারতী৷ কিন্তু, এই মহিলা আইপিএসের কাজকর্মে ক্ষোভ বেড়েছিল পুলিশমহলে৷ শেষপর্যন্ত, ভারতী ঘোষকে অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ পদে বদলি করে দেয় রাজ্য সরকার৷ পদত্যাগ করেন তিনি৷ এখন তাঁর বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগে তদন্ত চালাচ্ছে সিআইডি৷ তাঁর দেহরক্ষী সুজিত মণ্ডলের ভূমিকাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা৷ তবে এখনও পর্যন্ত তার নাগাল পাননি সিআইডি আধিকারিকরা৷ সে পলাতক৷
দিন কয়েক আগে মুম্বই পুলিশের হাতে ধরা পড়েছিল সুজিত৷ তাকে রাখা হয়ে মুম্বইয়ের একটি থানার লক-আপে৷ কিন্তু, সিআইডির আধিকারিক পৌঁছনোর আগেই লক-আপ থেকে রহস্যজনকভাবে পালিয়ে যায় ভারতীর ঘোষের দেহরক্ষী৷ খালি হাতে ফিরতে হয় তদন্তকারীদের৷ সেই থেকে বেপাত্তা সুজিত মণ্ডল৷ সোমবার পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল থানায় তার বিরুদ্ধে নতুন করে অভিযোগ দায়ের করেন মামলার এক সাক্ষী৷ অভিযোগকারীর বক্তব্য, মুম্বইয়ে সোনা তৈরি কারখানা চালান তাঁর ভাই৷ তাঁকে ফোন করে তোলা চেয়েছে সুজিত৷ টাকা দিতে রাজি না হলে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকিও দিয়েছে সে৷ সেই অভিযোগেরই তদন্তের দায়িত্ব নিল সিআইডি৷
[ দুরন্ত বর্ষায় দুর্ভোগ উত্তর থেকে দক্ষিণে, উত্তাল দিঘার সমুদ্র]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.