Advertisement
Advertisement
Krishnanagar lady murder case

কেরোসিন-দেশলাই কিনেছিলেন তরুণী, জানতেন দুজন! কৃষ্ণনগর কাণ্ডে ঘনাচ্ছে রহস্য

কৃষ্ণনগরের পুলিশ সুপারের অফিস থেকে মাত্র ৫০০ মিটার দূরে অর্ধদগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়েছিল।

New facts emerges in Krishnanagar lady murder case
Published by: Paramita Paul
  • Posted:October 26, 2024 4:36 pm
  • Updated:October 26, 2024 4:36 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কৃষ্ণনগরের পুলিশ সুপারের অফিস থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে উদ্ধার হয়েছিল তরুণীর দেহ। এবার সেই ঘটনায় ভাইরাল নয়া অডিও ক্লিপ। যা নিয়ে দানা বাঁধছে রহস্য। কী রয়েছে সেই অডিও ক্লিপে? (অডিওটির সত্যতা যাচাই করেনি সংবাদ প্রতিদিন ডট ইন)।

এক পুরুষ ও এক মহিলার গলা শোনা গিয়েছে সেই অডিও ক্লিপে। কী কথা হয়েছে দুজনের? 

Advertisement

পুরুষ কণ্ঠ: কেরোসিন তেল নাকি কিনেছে, দেশলাইও..।
মহিলা কণ্ঠ: কী করবে?
পুরুষ কণ্ঠ: মরবে।
মহিলা কণ্ঠ: পা-গ-ল?
পুরুষ কণ্ঠ: আমি বললাম, যা খুশি করো।
মহিলা কণ্ঠ: তোমাকেই ফোন করছে! জানি না, কিছু করবে কি না। যদি কিছু করে-টরে বসে, তোমাকেই ফোন করবে।
পুরুষ কণ্ঠ: আরে হ্যাঁ। আমার তো চাপ হয়ে যাচ্ছে…।

সূত্রের দাবি, অডিও-তে থাকা পুরুষ কণ্ঠটি মৃত তরুণী ও ধৃত যুবকের ‘কমন’ বন্ধু। নারী কণ্ঠটি ঘনাচ্ছে রহস্য। সূত্রের দাবি, মেয়েটির সঙ্গে ধৃত রাহুলের প্রণয়ের সম্পর্ক ছিল। তাঁকে একবার সিঁদুরও পরিয়ে দিয়েছিলেন বলে দাবি সূত্রের। তিনি সোনারপুরের বাসিন্দা। অডিও ক্লিপটি নিয়ে  তরুণী এবং ‘কমন’ বন্ধুকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চলেছে পুলিশ। এ প্রসঙ্গে কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার সুপার অমরনাথ.কে জানিয়েছেন, “তদন্তে সবদিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নতুন তথ্য পেলে তাও বার বার যাচাই করা হচ্ছে। সম্ভাব্য সাক্ষ্যও গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা হচ্ছে। ইলেকট্রনিক্স এভিডেন্সও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

উল্লেখ্য, গত ১৬ অক্টোবর, বুধবার সকালে কৃষ্ণনগরের পুলিশ সুপারের অফিস থেকে মাত্র ৫০০ মিটার দূরে একটি পুজো মণ্ডপের সামনে থেকে অর্ধদগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তার পরিচয় জানা যায়। অভিযোগ, দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুন এবং খুনের পর প্রমাণ লোপাটে মুখ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় ছাত্রীর প্রেমিক রাহুল বসুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সিট গঠন করে তদন্ত শুরু হয়েছে। যদিও পুলিশে আস্থা নেই বলেই দাবি নির্যাতিতার পরিবারের। সিবিআই তদন্ত চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার ভাবনায় নিহতের পরিজনেরা। টালমাটাল পরিস্থিতির মাঝেই এই খুনের ঘটনায় এবার তদন্তকারী অফিসার বদল করা হল। এই মামলায় তদন্তকারী অফিসারের দায়িত্বে ইন্সপেক্টর কৌশিক সাউ। শুক্রবার নিহতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন সাংসদ মহুয়া মৈত্রও।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement