রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: বিছানা থেকে নিখোঁজ ১৫ দিনের শিশু। মঙ্গলবার সকালে বাড়ির পুকুর থেকে তার পচগলা দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। ঘটনায় তুমুল উত্তেজনা ছড়াল পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথির সফিয়াবাদ গ্রামে। পুলিশের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসীরা। এলাকায় মোতায়েন প্রচুর পুলিশ। এদিকে এই ঘটনায় আগেই শিশুটির বাবা, মা-সহ পরিবারের পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
[কুলটিতে শুটআউট, ১৫ ঘণ্টা পর উদ্ধার যুবকের ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ]
কাঁথির দেশপ্রাণ ব্লকের সফিয়াবাদ গ্রামের বাসিন্দা শুভজিৎ পয়ড়্যা পেশায় সিভিক ভলান্টিয়ার। গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, শুভজিতের একটি কন্যাসন্তান আছে। দিন পনেরো আগে ফের কন্যাসন্তানের জন্ম দেন তাঁর স্ত্রী। প্রতিবেশীদের দাবি, দ্বিতীয়বারও কন্যাসন্তান হওয়ার পারিবারিক অশান্তি চরমে ওঠে। সবসময় মনমরা হয়ে থাকত ওই যুবকের স্ত্রী সীমা ও তাঁর মা জ্যোৎস্না সামন্ত। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে আচমকাই নিখোঁজ হয়ে যায় ১৫ দিনের শিশুটি। সফিয়াবাদ গ্রামের বাসিন্দাদের দাবি, শুভজিৎ ও তাঁর স্ত্রী সামী জানায়, রাতে ঘরের দরজা বন্ধ করে শুয়েছিল তারা। শিশুটিও বাবা-মায়ের সঙ্গেই ছিল। মাঝ রাতে পাশ ফিরে সীমা দেখে, শিশুটি বিছানায় নেই। সারা বাড়িতে তন্নতন্ন করে খোঁজে শিশুর খোঁজ পাওয়া যায়নি। ঘটনাটি জানাজানি হতেই গ্রামে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। পরের দিন অর্থা্ৎ শুক্রবার সিভিক ভলান্টিয়ার শুভজিৎ পয়ড়্যার বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। তাঁদের অভিযোগ, পরিবারের লোকেরাই পরিকল্পনামাফিক শিশুটি খুন করেছে। আর সেই ঘটনা ধামাচাপা দিতে নিখোঁজ হওয়ার মিথ্যা নাটক করছে তারা। শুভজিৎ পয়ড়্যা, তার স্ত্রী, বাবা-মা ও শাশুড়িকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার সকালে বাড়ির পুকুরে দুধের শিশুটির পচগলা মৃতদেহ ভাসতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনাস্থলে মৃতদেহটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। তদন্তকারীদের দাবি, জেরায় নাতনিকে খালের জলে ফেলে দেওয়ার কথা স্বীকার করেছে শিশুর দাদু। সেই মতো কুকুর নিয়ে স্থানীয় আমতলি খালে তল্লাশিও চালিয়েছিল পুলিশ। তদন্তকারীরা এখন বলছেন, খালের কথা বলে তাঁদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছে অভিযুক্তরা।
[ নাতিকে দেশে ফেরাতে দোরে দোরে ঘুরছেন ওপার বাংলার দিদিমা]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.