নিজস্ব সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি: নেতাজি বন্দনায় মাতল শহর জলপাইগুড়ি। একইসঙ্গে বীর এই দেশনায়কের ১২২ তম জন্মদিনে এদিনও সেই রহস্যময় সাধুর কথা আলোচিত হল। যে রহস্য আজও রয়ে গিয়েছে রহস্যই। জলপাইগুড়ি শহরের বিখ্যাত হনুমান মন্দিরে বজরংবলীর সঙ্গে নেতাজিও পূজিত হয়ে আসছেন। এই দস্তুর বহুদিনের।
[মাত্র এক মিনিটেই নেতাজির নিখুঁত ছবি! বাংলার বিস্ময় বিশ্বনাথ]
মন্দিরের বর্তমান পুরোহিত অমিয়কুমার দাস জানান, তখন সদ্য স্বাধীন হয়েছে দেশ। স্বাধীন দেশে রহস্যময়ভাবে অনুপস্থিত নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। তাঁর অন্তর্ধান নিয়ে জোর চর্চা চলছে দেশজুড়ে। ঠিক সেইসময় জলপাইগুড়ি শহরের মাশকলাই বাড়ি এলাকায় রহস্যময় এক মানুষের উপস্থিতি চমকে দিয়েছিল জলপাইগুড়ি শহরকে। কোথা থেকে এসেছেন তিনি তা কারও জানা ছিল না। গাছের তলায় এক কাপড়ে বসে থাকতেন হনুমানের ভক্ত দীর্ঘ চেহারার এক মৌন মানুষ। পাশে নেতাজির ছবি। ইশারাতেই সবকিছু বোঝাতেন তিনি। তবে যা বোঝাতেন তাতে ফুটে উঠত তাঁর দেশ প্রেমের কথা। সেইসঙ্গে অন্তরে নেতাজির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা। করপত্রিজি মহারাজ নামে পরে তিনি এলাকায় পরিচিত হয়ে ওঠেন। পরবর্তীতে তাঁর নামেই গড়ে উঠেছিল এই মন্দির। সেখানে করপত্রিজি মহারাজের ইচ্ছেতেই হনুমান মূর্তির পাশে নেতাজির ছবি রেখে পুজো শুরু হয়।
স্থানীয়দের বিশ্বাস, এই করপত্রিজি ছিলেন নেতাজির সহযোদ্ধা। সুভাষ চন্দ্রর অন্তর্ধানের পর জলপাইগুড়িতে এসে আত্মগোপন করেছিলেন তিনি। ১৯৮৭ সালে দেহত্যাগ করেন মহারাজ। বিগত বছরগুলির মতো এদিনও নেতাজি জয়ন্তীতে হনুমান মন্দিরে পুজো পেয়েছেন নেতাজি।
[ভিয়েতনামের জেলে নেতাজির মৃত্যু! ফরাসি ইতিহাসবিদের দাবিতে নয়া জল্পনা]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.