বাবুল হক, মালদহ: ভাইপোকে মেরে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল কাকা-কাকিমার বিরুদ্ধে। বাড়ির সীমানায় পাঁচিলের ভাঙচুরে বাধা দিতে গিয়ে বচসা বাঁধে। এর জেরে ইখুন বলে পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের গোলমোড় এলাকায়। তবে এটি খুন না কি আত্মহত্যা, তা খতিয়ে দেখতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,মৃত যুবকের নাম সুকুমার সাহা ওরফে বিষ্ণু (১৮)। বাড়ি গোলামোড় এলাকায়। মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে কাকা প্রফুল্ল সাহা,কাকিমা দিপালি সাহা ও তাঁদের দুই ছেলে দীপঙ্কর সাহা ও প্রদীপ সাহা-সহ মোট ৫ জনের বিরুদ্ধে। ঘটনার পরেই কাকাকে পুলিশ আটক করে। তবে বাকি অভিযুক্তরা পলাতর। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, সুকুমারকে মেরে ঝুলিয়ে দিয়েছে কাকা, কাকিমা ও তাঁদের দুই ছেলে। অভিযুক্তদের কঠোরতম শাস্তির দাবি তুলেছেন পরিবারের সদস্যরা।
মৃতের দাদা বিষ্ণু সাহা জানান, দীর্ঘদিন ধরে সীমানা প্রাচীর দেওয়াকে কেন্দ্র করে তাঁদের সঙ্গে কাকার পরিবারের বিবাদ চলছিল। এনিয়ে গ্রামে কয়েকবার সালিশি সভাও বসেছে। কয়েকদিন আগে হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় তাঁর কাকা তাঁদের নামে অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শনও করে যাায়। পুলিশ দু’পক্ষকে থানায় আসতে বলেছিল। জানা গিয়েছে, উভয় পক্ষের কয়েকজন থানায় গেলেও বাড়িতে একাই ছিল সুকুমার সাহা। ওদিকে কাকার দুই ছেলে দীপঙ্কর ও প্রদীপও বাড়িতে ছিল।
ইতিমধ্যে বাড়ি ফাঁকা পেয়ে দীপঙ্কর ও প্রদীপ সীমানা প্রাচীর ভাঙতে শুরু করেন। সুকুমার বাধা দিতে গেলে তাঁরা বিবাদে জড়িয়ে পড়েন। ভাই ফোন করে সব ঘটনা দাদা বিষ্ণু সাহাকে জানান। বিষ্ণু সাহার অভিযোগ, থানায় সমস্যার সমাধান হওয়ার আগেই প্রফুল্ল ও দিপালী সাহা বাড়ি চলে আসেন। ঘণ্টাখানেক পরেই সুকুমারের মৃত্যুর খবর পায় তাঁর পরিবার। তাঁরা বাড়িতে এসে দেখেন সুকুমার গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে রয়েছে। ভাই আত্মহত্যা করেননি,তাঁকে মেরে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দিয়েছে বলে দাবি দাদা বিষ্ণু সাহার। হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলেই জানা যাবে খুন না কি আত্মহত্যা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.