সংগ্রাম সিংহ রায়, শিলিগুড়ি: লকডাউনের আগে ঠিকাদারের অধীনে কাজ করেই দিব্যি দিন চলে যাচ্ছিল। করোনা ভাইরাস বাংলায় থাবা বসানোর পর থেকে আচমকাই বদলাল জীবন। সংক্রমণ রুখতে লকডাউনের ফলে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। আয়ও নেই। তার ফলে সমস্যায় পড়েন নেপাল থেকে বাংলায় কাজ করতে আসা ৮ জন যুবক। বাধ্য হয়ে সীমান্ত পেরিয়ে নেপাল যাওয়ার চেষ্টা করেন তাঁরা। তবে এসএসবি’র নজরে আসায় সীমান্ত পেরিয়ে যাওয়া হল তাঁদের। আপাতত কোয়ারেন্টাইন সেন্টারেই দিন কাটছে তাঁদের।
তিস্তা ব্যারেজে ঠিকাদারের অধীনে কাজ করতেন নেপালের আটজন কাজ করতেন। তাঁরা হলেন, খোটাংয়ের সুভাষ ভূজেল, চাঁদ বাহাদুর ভূজেল, বুদ্ধকুমার মাঝি, কেদার ভূজেল, সুভাষ ভূজেল, ইমন ভূজেল, রামবাহাদুর মাঝি এবং উদয়পুরের বাসিন্দা বিষণ বাহাদুর ভূজেল। তাঁদের দাবি, লকডাউনের শুরু থেকে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। প্রথম কয়েকদিন কাজ না হলেও খাওয়াদাওয়ার বন্দোবস্ত করে দিয়েছেন ঠিকাদার নিজেই। তবে তারপর আর খাবারও জোটেনি তাঁদের। বাড়ি ফেরার জন্য আকূল হয়ে ওঠেন তাঁরা। তাই বাধ্য হয়ে বুধবার সকালে খড়িবাড়ি ব্লকের পানিট্যাঙ্কি এলাকায় মেচি নদীর পাশ দিয়ে ইন্দো-নেপাল সীমান্ত দিয়ে নেপালে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন তাঁরা।
তবে এদিন সকালে সীমান্ত পেরনোর সময় ওই আটজন নজরে পড়ে যায় এসএসবি’র। তাদের হাতেনাতে পাকড়াও করা হয়। তাতেই নেপালে যাওয়ার পরিকল্পনা বানচাল হয়ে যায়। পাকড়াওয়ের পর থার্মাল স্ক্রিনিংও করা হয় তাদের। আপাতত পানিট্যাঙ্কির কাছে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারেই রয়েছে তারা। পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে তাদের। করোনার উপসর্গ দেখা দিলেই শুরু হবে চিকিৎসা। উল্লেখ্য গত সপ্তাহেও ঠিক এভাবেই নেপালে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে বেশ কয়েকজন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.