সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: ধর্ষণ রুখতে এক ব্যক্তিকে খুনের পর থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ মহিলার। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার উস্তি থানা এলাকায়। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত মহিলাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে সত্যি কি সম্ভ্রম বাঁচাতেই খুন, নিশ্চিত হতে তদন্ত শুরু হয়েছে।
ঘটনার সূত্রপাত বৃহস্পতিবার রাতে। জানা গিয়েছে, এদিন রাতে ওই মহিলার বাড়িতে যান এলাকারই বাসিন্দা তপন সাউ। অভিযোগ, সেখানে বধূর ধর্ষণের চেষ্টা করে সে। সেই সময় সম্মান বাঁচাতে হাতের সামনে থাকা একটি লোহার রড দিয়ে ওই ব্যক্তিকে আক্রমণ করেন মহিলা। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে তপন। প্রমাণ লোপাট করতে স্বামীর সহযোগিতায় তপন সাউয়ের দেহ বাড়ির পাশের কলা বাগানে নিয়ে যায় ওই মহিলা। সেখানেই পুঁতে দেওয়া হয় দেহটি। এরপর শুক্রবার স্বাভাবিক ছিল সব কিছু।
শনিবার সকাল থেকেই প্রতিবেশীদের আচরণে অস্বস্তি বাড়তে থাকে ওই মহিলা ও তার স্বামীর। এরপরই আত্মসমর্পণ করার সিদ্ধান্ত নেয় মহিলা। সেই মতোই উস্তি থানায় গিয়ে গোটা ঘটনার বিবরণ দেন তিনি। এরপর মহিলাকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে যান গোঘাট থানার পুলিশ আধিকারিকরা। অভিযুক্তের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কলাবাগানে তল্লাশি চালিয়ে তপন সাউয়ের দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায় পুলিশ। এরপরই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়। যদিও পলাতক মহিলার স্বামী। মৃতের দাদার দাবি, “ভাইয়ের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ভিত্তিহীন। তবে অভিযুক্তের স্বামীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল তপনের। ফলে তাঁদের ব্যক্তিগত কোনও বচসা ছিল কি না সে বিষয়ে কিছু জানি না।” আদৌ কি সম্মান বাঁচাতেই খুন? নাকি এর পিছনে অন্য কোনও জটিল সমীকরণ রয়েছে তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.