সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিনা চিকিৎসায় নার্সের মৃত্যু হয়েছে। এই অভিযোগে উত্তাল মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে। তৃপ্তি দিণ্ডার মৃত্যুর ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবিতে হাসপাতালের অধ্যক্ষকে ঘেরাও করে রাখেন নার্সরা। হাসপাতালের রোগ ধরতে মেদিনীপুর যাচ্ছে স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্তারা।
[৩৮ জনের মৃত্যুর নেপথ্যে রাম রহিমের ‘লাল ব্যাগ’]
বুধবার বিকেল থেকে ঘেরাও করা হয় পঞ্চানন কুণ্ডুকে। মাঝখানে এক ঘণ্টা বাদ দিলে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত তাঁকে ছাড়া হয়নি। বিক্ষুব্ধ নার্সরা সহকর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় তদন্তের দাবি জানিয়েছে। পাশাপাশি ঘটনায় দোষীদের কঠোর শাস্তি চেয়েছে। গত মঙ্গলবার মারা যান তৃপ্তি দিণ্ডা। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, তৃপ্তিদেবীর এমআরআই করানোর কথা ছিল। তবে তা করানো হয়নি। এই নিয়ে মঙ্গলবার হাসপাতাল সুপারকে ঘেরাও করেছিলেন নার্সরা। বুধবার মেডিক্যালে কলেজের অধ্যক্ষ পঞ্চানন কুণ্ডুকে ঘেরাও করেন তাঁরা। অধ্যক্ষ সংবাদমাধ্যকে জানান, তদন্ত কমিটি গঠন করা হচ্ছে। ওই কমিটি এমআরআই সেন্টারের ভূমিকাও খতিয়ে দেখবে। তবে তিনি স্বীকার করে নেন, এমআরআই সেন্টার নিয়ে এমন অভিযোগ এসেছে। কেন ওই সেন্টার এমআরআই না করে রোগী ফিরিয়েছে তদন্তে তা খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, ওই সেন্টার নিয়ে আগেও কিছু অভিযোগ এসেছিল। সেন্টারকে সতর্কও করা হয়েছিল। তারপরেও কেন এমন হল তা খতিয়ে দেখা হবে। গত শুক্রবারও হাসপাতালে গিয়েছিলেন তৃপ্তিদেবী। তাঁর ডিউটি ছিল এসএনসিইউ-তে। ওই দিন কর্মস্থলেই তিনি অসুস্থ বোধ করেন। পরিজনেরা এসে তাঁকে বাড়ি নিয়ে যান। বাড়ি ফেরার পর অসুস্থতা বাড়তে থাকে। গত শনিবার তৃপ্তিদেবীকে হাসপাতালে ভর্তি করেন পরিজনেরা। তাঁদের অভিযোগ, সোমবার তৃপ্তিদেবীর এমআরআই করানোর কথা ছিল। সেই মতো তাঁকে সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হলেও এমআরআই করানো হয়নি। মঙ্গলবার ভোরে নিজের কর্মস্থলে মৃত্যু হয় তৃপ্তি দিণ্ডার।
[রাজ্যে পঞ্চম শ্রেণির পড়ুয়াদের বছরভর বিনামূল্যে খাতা, সিদ্ধান্ত মমতার]
গত রবিবার এক শিশুমৃত্যুর ঘটনায় এই হাসপাতালে উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। কয়েক সপ্তাহ আগে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধে এক রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ সাসপেন্ড হয়েছিলেন এক নার্স। এই আবহে খোদ হাসপাতালের কর্মীর মৃত্যু হওয়ায় কর্তৃপক্ষের ভূমিকা প্রশ্নের মুখে পড়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.