বিপ্লবচন্দ্র দত্ত ,কৃষ্ণনগর: জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের ভুল ইঞ্জেকশন দেওয়ার অভিযোগ উঠল নদিয়ার ধুবুলিয়া প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার রাত থেকেই উত্তেজনা ছড়ায় ধুবুলিয়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই হাসপাতালের বহু রোগীকে অন্য হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। যদিও ভুল ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়নি বলেই দাবি কর্তব্যরত চিকিৎসকদের।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, জ্বরের উপসর্গ নিয়ে ধুবুলিয়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভরতি হয়েছিলেন বেশ কয়েকজন। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। মঙ্গলবার রাতে তাঁদের ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়। রোগীর আত্মীয়দের অভিযোগ, ‘ইঞ্জেকশন দেওয়ার পর থেকেই রোগীদের মধ্যে খিঁচুনি ও কাঁপুনি শুরু হয়।’ তা দেখে রোগীর আত্মীয়রা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। এরপরই হাসপাতালে চিৎকার শুরু করেন তাঁরা। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। বিষয়টি জানার পর জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের নির্দেশে পনেরো জন রোগীকে কৃষ্ণনগর ও শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। পরে আরও একজনকে স্থানান্তরিত করা হয়। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন তাঁরা।
যদিও ভুল ইঞ্জেকশন দেওয়ার বিষয়টি সঠিক নয় বলেই জানিয়েছেন ধুবুলিয়া প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্তব্যরত একজন চিকিৎসক। তাঁর কথায়, ‘ভুল ইঞ্জেকশন নয়। আসলে অ্যান্টিবায়োটিক ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়েছে। তারপরই রোগীদের অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে।’ যদিও অ্যান্টিবায়োটিক ইঞ্জেকশন দেওয়ার পর কেন রোগীদের মধ্যে কাঁপুনি ও খিঁচুনি দেখা দিল, তা স্পষ্ট বলতে পারেননি ওই চিকিৎসক। এখানেই প্রশ্ন উঠেছে ,তাহলে কি মেয়াদ উর্ত্তীর্ণ কোনও ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়ছিল ওই রোগীদের ? তার জেরেই কী খিঁচুনি ও কাপুনির প্রবণতা দেখা দিয়েছে ? যদিও প্রকৃত কারণ কী তা এখনও জানা সম্ভব হয়নি। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে হাসপাতালের তরফে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.