চন্দ্রশেখর চট্টোপাধ্যায়, আসানসোল: সিমেন্ট দিয়ে গড়া শক্তপোক্ত মূর্তি। চোখে ধূলো দিয়ে তা সরিয়ে ফেলা সহজ নয় মোটেও। তবু, রাতের আঁধারে সেই সিমেন্টের শরীর-সহ উধাও হয়ে গেলেন নজরুল ইসলাম। আসানসোলের কুলটির নিউরোডের এমন ঘটনায় স্তম্ভিত স্থানীয় বাসিন্দারা।
বুধবার সকালে স্থানীয় বাসিন্দাদের নজরে আসে, নজরুল উদ্যান থেকে কাজী নজরুল ইসলামের আবক্ষ মূর্তিটি নেই। অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে কেউ বা কারা মূর্তিটি কেটে নিয়ে চলে গিয়েছে। ঘটনায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার এবং মূর্তি উদ্ধারের আশ্বাস দিয়েছেন কাউন্সিলর বাদল পুইতন্ডি। ঘটনায় রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত দেখছেন অনেকে। মনে করা হচ্ছে, এটা নিছকই চোর বা দুষ্কৃতীদের কাণ্ড নয়। অন্য কোনও চক্রান্ত থাকতে পারে। সম্প্রীতি নষ্ট করার উদ্দেশ্যে নজরুলের মূর্তি চুরি বলে মনে করছেন আসানসোলের মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি। আবার আরেকাংশের ধারণা, জমি দখল করার জন্য এভাবে মূর্তিটি চুরি করা হয়েছে। ধীরে ধীরে গোটা উদ্যানটিই দখল করা হতে পারে। কেউ কেউ বলছেন, দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে পড়ে ছিল উদ্যান। ঢিলেঢালা হয়েছিল নিরাপত্তাও। যার সুযোগে এভাবে চুরি হল।
চতুর্থবার বিয়ে করতে গিয়ে বিপত্তি, ‘গুণধর’কে গণপ্রহার
কয়েক বছর আগে কুলটির রবীন্দ্রভবন থেকে রবিঠাকুরের মূর্তি চুরি গিয়েছিল। ইস্কোর লোহার ঢালাইয়ের মূর্তি চুরির নেপথ্যে ছিল লোহা চোরের দল। পরে তারা হাতেনাতে ধরাও পড়ে, উদ্ধার হয় মূর্তি। এবার বিদ্রোহী কবির মূর্তি ফিরিয়ে আনা যাবে কি না, তা নিয়ে সংশয় থাকছে। তবে মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারির আশ্বাস, মূর্তি উদ্ধার না হলে নজরুল উদ্যানে নতুন করে মূর্তি তৈরি করে দেওয়া হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.