রাজা দাস, বালুরঘাট: নদীর উপর হঠাৎ করে ‘সেতু’র আকার নিয়েছে কচুরিপানার স্তূপ। শক্ত ওই কচুরিপানার স্তূপের উপর দিয়ে দিব্যি চলছে নদী পারাপার। সেতুর মতো জমাট কচুরিপানাকে ভগবানের দান বলেই বিশ্বাস গ্রামবাসীদের। পূজার্চনার সঙ্গেই বসেছে বিরাট মেলাও। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুশমণ্ডি থানার ফলতুর এবং ফরিদপুর গ্রামের কাছে টাঙন নদীর এই ঘটনা ঘিরে এলাকায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, গত রবিবার থেকে ওই এলাকায় নদীর উপর কচুরিপানাকে জমাট হয়ে ভেসে থাকতে দেখেন গ্রামবাসীরা। বেশ শক্ত সেই জমাট কচুরিপানাগুলি নদীর দুই প্রান্তের মধ্যে সংযোগ তৈরি করেছে। প্রাকৃতিকভাবে তিনবছর আগে একই জায়গাতে এই ধরনের কচুরিপানার ‘সেতু’ দেখা গিয়েছিল বলে দাবি গ্রামবাসীদের। কিছুদিন পরে সেটি অবশ্য ভেসে যায়। এবার ফের একই ঘটনা ঘটায় অবাক এলাকার বাসিন্দারা। ভগবানের কৃপা বলেই দাবি স্থানীয়দের। মুহূর্তে এই খবর ছড়িয়ে পড়তে হাজার হাজার মানুষ ভিড় জমাতে শুরু করেন। শুরু হয়ে যায় পূজার্চনা। ‘কচুরিপানার সেতু’ ঘিরে রীতিমতো এলাকায় মেলা বসে গিয়েছে। গ্রামবাসী হরচন্দ্র বর্মন, মহিমচন্দ্র রায়রা জানান, সরকারি ভাবে এই এলাকায় একটা সেতু তৈরি হলে দুই পারের মানুষের যোগাযোগে উন্নতি হত। কিন্তু তা হয়নি। অথচ প্রকৃতির লীলাতে হঠাৎ করে কচুরিপানা দিয়ে সেতু তৈরি হয়েছে। ঘটনা ঘিরে এলাকা জুড়ে বাসিন্দাদের মধ্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। খবর পেয়ে বহু দূরদূরান্ত থেকে মানুষজন ছুটে আসছেন এটি দেখতে। হাজার হাজার মানুষ নদীপথ পারাপার হচ্ছেন। এলাকার এক সাধু পরেশচন্দ্র রায় বলেন, ভগবানের কৃপাতে এই আশ্চর্য ঘটনা ঘটেছে। মানুষ বিশ্বাস ও ভক্তি সহকারে পূজার্চনা শুরু করেছেন। ভিন জেলা থেকেও অসংখ্য মানুষ আসছেন। তবে কত দিনের জন্য এই প্রাকৃতিক সেতু স্থায়ী হয় তা লক্ষ রাখা হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.