ছবি: প্রতীকী
চঞ্চল প্রধান, হলদিয়া: গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে একাধিক সরকারি কাজে দুর্নীতির অভিযোগ তুললেন খোদ পঞ্চায়েত সদস্যরাই। যার জেরে গ্রেপ্তার করা হল নন্দীগ্রাম ১ ব্লকের দাউদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সামসুল ইসলামকে। বিডিওর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে জামিন অযোগ্য ধারায় নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ (Nandigram PS) মামলা শুরু করেছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, তৃণমূল গ্রাম পঞ্চায়েতের সামসুলের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরেই দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। গত জানুয়ারিতেই তাঁর বিরুদ্ধে কলকাতা হাই কোর্টে মমলা করেছিলেন ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের তিন সদস্য। অভিযোগ ছিল, ব্যাংকে উচ্চপদে কর্মরত থাকা সত্ত্বেও প্রধানের পদ দখল করে বসে আছেন সামসুল। এছাড়াও ওই এলাকার সরকারি গাছ কেটে সেই অর্থ আত্মসাৎ করা কিংবা সাবমার্সিবিল পাম্প না বসিয়েই কাজ শেষ হওয়ায় বোর্ড ঝুলিয়ে দেওয়ার মতো নানা অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
বেআইনি কার্যকলাপের বিরুদ্ধে তাই প্রশাসনিক দৃষ্টি আকর্ষণ করতে আইনের দ্বারস্থ হন অভিযোগকারীরা। সেই আবেদনের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসনকে এ ব্যাপারে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাই কোর্ট। সেই তদন্তের রিপোর্ট জমা পড়ে হলদিয়া মহকুমা শাসকের কাছে। এরপর গত ৬ এপ্রিল নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের বিডিও (BDO) সুমিতা সেনগুপ্ত নন্দীগ্রাম থানায় গ্রাম পঞ্চায়েত সামসুল ইসলামের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতেই গতকাল, শুক্রবার রাতে গ্রেপ্তার করা হয় সামসুলকে।
তবে গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানকে গ্রেপ্তারের পর থেকে এলাকায় বিক্ষিপ্ত অশান্তি শুরু হয়। টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান তাঁর সমর্থকরা। এই আশঙ্কা আগেই করেছিল পুলিশ। তাই আগেভাগেই অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হয়েছে অভিযুক্তকে। আজ, শনিবার তাঁকে হলদিয়া কোর্টে তোলা হবে। এমন পরিস্থিতিতে ৩ অভিযোগকারী পঞ্চায়েত সদস্য আব্বাস বেগ, চন্দনা পাণ্ডা ও নাজমা খাতুন আতঙ্কে ভুগছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.