অর্ণব দাস, বারাকপুর: রাত পোহালেই নৈহাটির বড়মার মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটন। শতবর্ষ উপলক্ষে নির্মিত কষ্টিপাথরের সাড়ে চার ফুটের বড়মার মূর্তি ইতিমধ্যেই চলে এসেছে মন্দিরে। শনিবার লক্ষ্মীপুজোর দিন বড়মায়ের এই মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হবে। প্রায় তিন মাস সময় নিয়ে কষ্টিপাথরের বড়মায়ের মূর্তি তৈরি করেছেন রাজস্থানের শিল্পী ধর্মেন্দ্র সাউ। নৈহাটির রাজেন্দ্রপুর বটতলা থেকে বুধবার শোভাযাত্রা করে বড়মায়ের এই মূর্তি নিয়ে আসা হয়েছে নবনির্মিত মন্দিরে। এর পর হয়েছে ঘট এবং ধ্বজার পুজো।
শুক্রবার ৫০ কেজি বেল কাঠ দিয়ে যজ্ঞ করে গীতাপাঠ, চণ্ডীপাঠ, রুদ্রপাঠ সহকারে হয় মন্দির প্রতিষ্ঠার পুজো। ১২জন ব্রাহ্মণ এই পুজো করেন। তাদের মধ্যে ৩জন ব্রাহ্মণ এসেছেন বারাণসী থেকে। এদিনই ১০০ ভরি সোনার অলংকারে সাজানো হয় বড়মাকে। মায়ের নিচে শায়িত শিবেকে সাজানো হয় রুপোর মুকুট, ত্রিশূল, পাদুকা সহ অন্যান্য সাজ দিয়ে। এদিন সন্ধ্যাতেই হয়েছে মায়ের বেদীপুজো। শনিবার লক্ষ্মীপুজোর দিন হবে বড়মায়ের চক্ষুদান এবং প্রাণ প্রতিষ্ঠার পুজো। তারপরই ভোগ নিবেদন করা হবে বড়মাকে।
বড়কালী পূজার সমিতির সম্পাদক তাপস ভট্টাচার্য বলেন, “মন্দিরের নিচ তলায় বড়মায়ের পাশাপাশি রাধা কৃষ্ণের মূর্তিও বসে গিয়েছে। শনিবার প্রাণ প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি কালীপুজোর সময় যেভাবে বাইশ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট ঘন কৃষ্ণবর্ণ বড়মার প্রতিমা তৈরি করে পুজো হয় তার কাঠামোও পুজো করা হবে। নবনির্মিত মন্দির নির্মাণের কাজও প্রায় শেষ। রবিবার মন্দিরের দ্বারদঘাটনে বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি উপস্থিত থাকবেন। তারপর সর্বসাধারণের জন্য মন্দির খুলে দেওয়া হবে।”
প্রসঙ্গত, এতদিন নৈহাটির বড়মার মন্দিরে কালীপূজো বাদে সারা বছরই পূজিত হত বড়মার ছবি। গত বছর কালীপুজোর আগেই পুজো কমিটির ঠিক করে বড়মার পুজোর ১০০ বছর উপলক্ষে ফটোর বদলে পাকাপাকি ভাবে বসবে বড়মার কষ্টিপাথরের মূর্তি। মন্দিরের সহ নির্মাণ করা হবে কমবেশি ৩০০জনের ভোগ খাওয়ার ঘর, অতিথি নিবাস, বৃদ্ধাশ্রম। এরপরই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের পাশাপাশি দেশ-বিদেশের ভক্তদের অনুদানে শুরু হয় চারতলা মন্দির-সহ কষ্টি পাথরের বড়মার মূর্তি নির্মাণের কাজ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.