ছবিটি প্রতীকী
বিপ্লব দত্ত, কৃষ্ণনগর: গাংনাপুরে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণেই টনক নড়ল পুলিশের। পা বাড়ালেই বাজির কারখানা। গোটা এলাকায় কার্যত কুটির শিল্পের মতো বাড়ি বাড়ি বাজি তৈরির কাজ চলছে। মহিলারাও ঘরকন্নার ফাঁকে বাজি তৈরি করছেন। গাংনাপুরের তৈরি বাজিই নিত্যদিন প্যাকেটবন্দি হয়ে বাজারের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। দিব্যি চলছিল, সাম্প্রতিক বিস্ফোরণের ভয়াবহতায় শিউড়ে উঠেছেন এলাকাবাসী। পিঠ বাঁচাতে বেআইনি বাজি কারখানার কাঁচামাল সরাতে উঠে পড়ে লেগেছে মালিকপক্ষ। খবর পেয়ে বাজি বোঝাই গাড়ি-সহ চালক ও কারখানা মালিকের ছেলেকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। ধৃতদের নাম দীপ নারায়ণ রায় ও কৃষ্ণ মাঝি।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতরা বাড়িতে মজুত নিষিদ্ধ শব্দবাজির মশলা পাচারের চেষ্টা করছিল। পথেই গাড়ি আটক করে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। তাতেই বাজির মশলা ধরা পড়ে যায়। এলাকার মাত্র তিনটি কারখানা মালিকের কাছে আতশবাজি তৈরির বৈধ ছাড়পত্র রয়েছে। এদিকে বিস্ফোরণের পর তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে এলাকার প্রায় প্রত্যেক বাড়িতেই নিষিদ্ধ বাজির মশলা মজুত রয়েছে। সেই সঙ্গে শব্দবাজি, আতশবাজি ও বাজির মশলা মজুত রয়েছে কারাখানাগুলিতে। ঘরে ঘরে প্রায় কারখানা। এদিকে একের পর এক অভিযানে বাজির মশলা, নিষিদ্ধ বাজি বাজেয়াপ্ত হচ্ছে। সেসব থানায় নিয়ে গিয়ে রাখাও বেশ বিপজ্জনক। আপাতত বাজি ও মশলা জলে ভিজিয়ে রাখা হয়েছে।
[গাংনাপুরে থানার অদূরে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ, মালিক-সহ মৃত দুই]
জেলা পুলিশ সুপার রূপেশ কুমার জানিয়েছেন, গাংনাপুর ছাড়াও কল্যাণীর বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে প্রচুর পরিমাণে শব্দবাজি ও মশলা উদ্ধার করা হয়েছে। এর সঙ্গে জড়িত সন্দেহে বেশ কয়েকজন গ্রেপ্তারও হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.