বিপ্লব দত্ত, নদিয়া: পুলিশ লকআপে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহননের ঘটনা ঘটল নদিয়ায়। আত্মঘাতী ব্যক্তি ধর্ষণে অভিযুক্ত। মৃতের নাম রবিন রায় (৫৯)। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার কৃষ্ণনগরের শক্তিনগর হাসপাতালের পুলিশ লকআপে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শক্তিনগর হাসপাতাল চত্বরে।
গত বৃহস্পতিবার থেকে ওই পুলিশ লকআপেই ছিল অভিযুক্ত। মূলত ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য তাকে ওখানে পাঠানো হয়েছিল। সেখানেই লকআপের শৌচাগারের মধ্যে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয় অভিযুক্ত। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান ধর্ষণের ঘটনায় বোধহয় অনুশোচনা হয়েছিল অভিযুক্তের। তাই লোকলজ্জার ভয়ে আত্মহননের পথ বেছে নেওয়া হয়েছে। রবিবার সকালে দীর্ঘক্ষণ শৌচাগার থেকে না বেরনোয় রক্ষীদের সন্দেহ হয়। দরজা ভাঙলে দেখা যায়, গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছে রবিন রায়। পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।
জানা গিয়েছে, রবিন রায়ের বাড়ি নদিয়ার তাহেরপুর থানার দিঘিরপাড় এলাকায়। তার বিরুদ্ধে প্রতিবেশী নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে। সেই অভিযোগেই তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য চলতি মাসের ১৯ তারিখে রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পুলিশ লকআপের ব্যবস্থা না থাকায় ওইদিনই কৃষ্ণনগরের শক্তিনগর হাসপাতালে ভরতি করা হয়। এই শক্তিনগর হাসপাতালেই রয়েছে পুলিশ লকআপ। সেখানেই ছিল অভিযুক্ত। এদিন সকালে সেই লকআপের শৌচাগার থেকেই তার ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। মৃতের পরিবারের তরফে কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। নির্যাতিতা নাবালিকার পরিবারও কোনও মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। এদিকে গোটা ঘটনা নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে পুলিশ। শুরু হয়েছে তদন্ত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.