প্রতীকী ছবি
সঞ্জিত ঘোষ, নদিয়া: কাজকর্ম ছিল না। নিত্যদিন সংসারে অশান্তি। স্ত্রীর উপর চলত শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার। শেষে ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্ত্রীকে কুপিয়ে খুন। এমনটাই অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে। নৃশংস এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে নদিয়ার একটি গ্রামে। গ্রামেরই একটি চাষের জমির পাশে ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় মহিলার মৃতদেহ দেখতে পান চাষিরা। খবর ছড়াতেই প্রচুর মানুষ ভিড় করেন সেখানে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ঘটনাস্থলে পৌঁছান রানাঘাট পুলিশ জেলার উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকরা। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
শুক্রবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার শান্তিপুর ব্লকের গয়েশপুর পঞ্চায়েতের ধারা পাড়া গ্রামে। জানা গিয়েছে, মৃত গৃহবধুর নাম বন্দনা মুদি, বয়স প্রায় ৩৮। খুনে অভিযুক্ত স্বামীর নাম মুক্তি মুদি। অভিযুক্তের ভাই বিদু মুদির দাবি, সাংসারিক কারণে দাদা ও বৌদির সঙ্গে তাঁদের কোনও সম্পর্ক নেই। কিন্তু একই বাড়িতে সকলে থাকেন। গতকাল রাতে খাওয়াদাওয়া করে শুয়ে পড়েছিলেন তাঁরা। সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখেন দাদার ঘরে দরজা দেওয়া। ভিতরে ঢুকে দেখেন দাদা বৌদি কেউ নেই। এর পরেই তাঁদের কাছে খবর আসে, রক্তাক্ত অবস্থায় বৌদি বন্দনা মুদির মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে একটি চাষের জমি থেকে।
বন্দনা মুদির দাদা চাদু ধরার অভিযোগ, অভিযুক্ত মুক্তি মুদি কাজকর্ম করে না। অহেতুক স্ত্রীর উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করত। মাঝেমধ্যেই অশান্তি চরমে উঠত। তখন শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে বাপের বাড়িতে গিয়ে থাকতেন বন্দনা মুদি। এর আগেও স্বামী একাধিকবার প্রাণে মারার চেষ্টা করেছে তাঁকে। এই খুনের পিছনে মুক্তি মুদির হাত রয়েছে বলে দাবি করেছেন মৃতার দাদা। যদিও বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন অভিযুক্ত। মৃতার পরিবারের দাবি, যেভাবে নৃশংসভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে তাতে যেন অভিযুক্তর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়।
অন্যদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে থমথমে গোটা গ্রাম। রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে সেখানে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে শান্তিপুর থানার বিশাল পুলিশবাহিনী। এছাড়াও উপস্থিত হন রানাঘাট পুলিশ জেলার এসডিপিও প্রবীর মণ্ডল। পুরো ঘটনার তদন্তে নেমেছে রানাঘাট পুলিশ।
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.