বিপ্লব দত্ত, নদিয়া: কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন বাবা। তবে বাবা-মায়ের সম্পর্কটা ছিল আর পাঁচটি সুখী দম্পতির মতোই। বরং প্রতিবেশী এক ব্যক্তির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল বিধবা ঠাকুমার। শেষপর্যন্ত, সেই প্রেমিকের গুলিতেই প্রাণ গেল সাড়ে চার বছরের নাতনির। অভিযুক্তকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার হাঁসখালিতে।
[OMG! ফুলশয্যার রাতেই পালালেন নতুন বউ, টেরও পেলেন না স্বামী]
মৃত ওই শিশুর নাম ঈশিতা বিশ্বাস। তাঁর বাবা দীর্ঘদিন ধরেই কর্মসূত্রে বাড়িছাড়া। হাঁসখালির গেঁড়াপোতার কলতলার বাড়িতে মা ও ঠাকুমার সঙ্গে থাকত ঈশিতা। ঠাকুরদা প্রয়াত। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, প্রতিবেশী যতীন রায়ের সঙ্গে প্রায় বাইশ বছরের সম্পর্ক ঈশিতার ঠাকুমার। তাঁদের সম্পর্কে কথা জানতেন সকলেই। ঈশিতাদের বাড়িতে অবাধ যাতায়াত ছিল যতীনের। মাঝেমধ্যে রাতেও থেকে যেতেন তিনি। পুলিশ জানিয়েছে, যতীন রায়ের কাছে একটি বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। সেটি আবার প্রেমিকার বাড়িতে লুকিয়ে রেখেছিলেন তিনি। মঙ্গলবার রাতে আকণ্ঠ মদ্যপান করে ঈশিতাদের বাড়িতে যান তাঁর ঠাকুমার প্রেমিক। মদ্যপ অবস্থায় ছোট্ট ঈশিতাকে আগ্নেয়াস্ত্রটি দেখাচ্ছিলেন যতীন। ঠিক তখনই ঘটে বিপর্যয়। পুলিশের দাবি, আগ্নেয়াস্ত্রে গুলি ভরা ছিল। দুর্ঘটনাবশত ট্রিগারে হাতে পড়ে যায় যতীনের। গুলি লাগে ঈশিতার মাথায়। ঘটনাস্থলেই মারা যায় শিশুটি।
[বাবুলের দাবিতে সিলমোহর, এবার আসানসোলে দাঁড়াবে রাজধানী এক্সপ্রেস]
মঙ্গলবার রাতেই অভিযুক্ত যতীন রায়কে গ্রেপ্তার করেছে হাঁসখালি থানার পুলিশ। তবে প্রাথমিকভাবে দুর্ঘটনা বলে মনে হলেও, অন্য সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না তদন্তকারীরা। ঠাকুমার প্রেমের সম্পর্ক জেনে ফেলায় কিংবা অন্য কোনও কারণে ঈশিতাকে খুন করা হয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এদিকে, সাড়ে চার বছরের ঈশিতার এমন পরিণতিতে এলাকায় নেমেছে শোকের ছায়া।
ছবি: সুজিত মণ্ডল
[পুকুরে মাছ ধরতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত ৩]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.