ছবি: জয়ন্ত দাস
ধীমান রায়, কাটোয়া: শনিবার যাঁদের বাড়ি থেকে শষ্য সংগ্রহ করেছিলেন জেপি নাড্ডা (J P Nadda) রবিবার সেই কৃষকদের দেখা গেল তৃণমূল কার্যালয়ে। তৃণমূলের দাবি, ওই পাঁচ কৃষক তাঁদের দলেরই সদস্য। এদিকে বিজেপির দাবি, ভয় দেখিয়ে তাঁদের দলের সদস্যদের তৃণমূলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।
শনিবার ‘কৃষক সুরক্ষা অভিযান’ কর্মসূচিতে পূর্ব বর্ধমানের মুস্থুলি গ্রামের বাসিন্দা নিতাই মণ্ডল, পাঁচকড়ি মণ্ডল, সনৎ মণ্ডল, উত্তম মণ্ডল এবং মথুরা মণ্ডল নামে পাঁচ কৃষকের বাড়ি বাড়ি ঘুরে শষ্য সংগ্রহ করেন জে পি নাড্ডা। রবিবার সন্ধেয় ওই ৫ কৃষকের পরিবারের সদস্যদের দেখা গেল কাটোয়া (Katwa) শহরের স্টেশনরোডে তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের কার্যালয়ে। জে পি নাড্ডার সফরের ২৪ ঘণ্টা পার হতে না হতেই ওই কৃষক পরিবারগুলির ভোলবদলে চাপানউতোর তৈরি হয়েছে।
এপ্রসঙ্গে বিজেপির (BJP) বর্ধমান পূর্ব (গ্রামীণ) জেলা কমিটির সহ-সভাপতি অনিল দত্ত বলেন, “এটাই তৃণমূল কংগ্রেসের কালচার। আমাদের নেতৃত্ব পশ্চিমবঙ্গের যেখানেই কোনও পরিবারের বাড়িতে গিয়ে আতিথেয়তা গ্রহণ করেছেন বিজেপি নেতারা পরবর্তীকালে সেই পরিবারকে ভয় দেখিয়ে তাঁদের দলে নিয়ে যাচ্ছে। এভাবে বিজেপিকে দমানো যাবে না।” এ বিষয়ে কাটোয়ার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “মুস্থুলি গ্রামের যেসব কৃষকদের বাড়িতে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা ভিক্ষাগ্রহণ করতে গিয়েছিলেন ওই সমস্ত পরিবারের সদস্যরা তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গেই বরাবর ছিলেন, আছেন, থাকবেন। বাংলার কৃষক পরিবারের বৈশিষ্ট্য হল সৌজন্যতা দেখানো। যে কেউ ভিক্ষা চাইতে গেলে কোনও গৃহস্থবাড়ির মহিলারা ফেরান না। তাই জেপি নাড্ডাকে তাঁরা ভিক্ষা দিয়েছেন মাত্র।” রবীন্দ্রনাথবাবুর কথায়, “যাতে এই পরিবারগুলি সম্পর্কে ভুল বার্তা না যায় তাই তাঁরা আমাদের দলীয় কার্যালয়ে আমার সঙ্গে সৌজন্যমূলক দেখা করতে এসেছেন।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.