Advertisement
Advertisement
Nabanna

খরিফ মরশুমে ৩৮৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিল নবান্ন, উপকৃত প্রায় ৬ লক্ষ কৃষক

কেন্দ্র থেকে একটা টাকাও নেওয়া হয় না এই প্রকল্পে।

Nabanna releases fund to compensate farmers | Sangbad Pratidin
Published by: Sulaya Singha
  • Posted:April 3, 2023 10:00 pm
  • Updated:April 3, 2023 10:00 pm  

গৌতম ব্রহ্ম: চাষীদের মুখে হাসি ফোটাল নবান্ন। খরিফ মরশুমে আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া ৫ লক্ষ ৮০ হাজার কৃষককে ৩৪৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিল রাজ্য সরকার। নবান্ন সূত্রে এই খবর জানিয়ে বলা হয়েছে, মুর্শিদাবাদ, মালদহ, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূম, নদিয়া, পশ্চিম বর্ধমান জেলায় এ বছর খরিফ মরশুমে যথেষ্ট বৃষ্টির ঘাটতি ছিল। এখানকার কৃষকরাই বেশি করে ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন।

শেষ রবি মরশুমে ৯ লক্ষ ৪৪ হাজার কৃষক ৪২৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ পেয়েছিলেন কৃষকরা। সুতরাং চলতি বছরে বাংলা শস্য বীমা যোজনা থেকে ১৫ লক্ষ ২৪ হাজার কৃষক দুই মরশুম মিলিয়ে পেলেন ৭৭০ কোটি টাকা। ২০১৯ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাষীদের স্বার্থে এই প্রকল্প চালু করেন। কেন্দ্র থেকে একটা টাকাও নেওয়া হয় না এই প্রকল্পে। চাষীদের একটা টাকাও প্রিমিয়াম দিতে হয় না। চাষীদের হয়ে বিমা কোম্পানিকে প্রিমিয়াম দেয় রাজ্য সরকার।

Advertisement

[আরও পড়ুন: বাংলার অশান্তি নিয়ে চিন্তিত রাষ্ট্রপতি! দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে সাক্ষাতের পর দাবি BJP সাংসদ দেবশ্রীর]

শুধুমাত্র আলু এবং আখ চাষীদের সামান্য কিছু প্রিমিয়াম দিতে হয়। এই প্রকল্পে রিমোট সেন্সিং, উপগ্রহ চিত্র, আবহাওয়ার তথ্য, গ্রাউন্ড টুথিং-সহ বিভিন্ন প্রযুক্তির মাধ্যমে ফসলের স্বাস্থ্য খতিয়ে দেখে চাষীর ক্ষতিপূরণের মাত্রা ধার্য করা হয়। ফলে খুব দ্রুত ক্ষতিপূরণ মেলে। এখনও পর্যন্ত ৭০ লক্ষ চাষী বাংলা শস্য বিমা যোজনার আওতায় নথিভুক্ত হয়েছে। এখনও পর্যন্ত মোট ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে ২৪৫৩ কোটি টাকা।

এদিকে, বৃষ্টির প্রতি নির্ভরতা কমাতে নতুন করে ২৪,৫০০ হেক্টর চাষের জমিকে মাইক্রো ইরিগেশন বা অতি ক্ষুদ্র সেচের অধীনে নিয়ে এল রাজ্যের কৃষি দপ্তর। এর ফলে নতুন করে ৫৮,০৮৭ জন কৃষক উপকৃত হবে। বর্ষ শেষের হিসেব হাতে এলে সেচের আওতায় আসা জমির পরিমাণ বেড়ে হবে ২৫,৭৫০ হেক্টর। চাষির সংখ‌্যা বেড়ে হবে ৬১ হাজার। চলতি অর্থবর্ষে প্রায় ৯০,০০০ চাষীকে এই প্রকল্পের অধীনে নিয়ে আসা হয়েছে। ২০১৮ সালে মুখ্যমন্ত্রী এই প্রকল্প হাতে নেন। যেখানে ড্রিপ এবং স্প্রিংকলারের সাহায্যে সেচের ব্যবস্থা করা হয়। বিশেষজ্ঞদের মত, সেচের এই পদ্ধতি ব্যবহারে একদিকে যেমন জল বাঁচে। অন্যদিকে বাড়ে উৎপাদন। ফল, আলু, আখ, ভুট্টা চাষে এই পদ্ধতি বিশেষভাবে ফলপ্রসু। এখনও পর্যন্ত এই প্রকল্পের মাধ্যমে ১ লক্ষ ৩৮ হাজার ৫৯৩ জন চাষী উপকৃত হয়েছেন। সেচের যন্ত্র কিনতে রাজ্য সরকারের খরচ হয়েছে ৩৬৩ কোটি ১৪ লক্ষ টাকা।

[আরও পড়ুন: তন্ত্রসাধনা নয়, নীল ছবিতে আসক্তি অভিযুক্তর, যৌন লালসাতেই তিলজলার শিশুকে খুন!]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement