প্রতীকী ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নরেন্দ্রপুরে দম্পতি খুনের ঘটনায় প্রকাশ্যে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গিয়েছে, খুন হওয়া আলপনা বিশ্বাস বিশেষ একজনের সঙ্গে মাঝে মধ্যেই কথা বলতেন। তবে কী বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন আলপনা দেবী? সেই সম্পর্কের টানাপোড়েনের জেরেই কী এই ভয়ংকর হত্যাকাণ্ড? এখন সেই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে তদন্তকারীদের মনে।
সোনারপুরের ফাঁকা বাগানবাড়ি দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন প্রদীপ বিশ্বাস (৪০) ও তাঁর স্ত্রী আলপনা বিশ্বাস (৩৭)। স্বামীর অনুপস্থিতিতে কি আলপনা কারও সঙ্গে বাগানবাড়িতে দেখা করতেন? এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে পুলিশের মনে। অনুমান, বাগান মালিকের সঙ্গে আলপনার বিশেষ সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। সেটি জানাজানি হতেই কি আলপনা ও তার স্বামীকে খুন হতে হয়?
অকুস্থলে প্রায় তিন লিটার রক্ত মিলেছে। খুনের আগে আততায়ীদের সঙ্গে কি ধস্তাধস্তি হয়েছিল? এই প্রশ্ন উড়িয়ে দিচ্ছে না গোয়েন্দা পুলিশ। বৃহস্পতিবার নরেন্দ্রপুর থানায় ওই বাগানবাড়ির মালিক-সহ তিনজনকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার নরেন্দ্রপুর থানার সোনারপুর খেয়াদহে তিউরিয়া গ্রামের বাগানবাড়ি থেকে প্রদীপ তাঁর স্ত্রী আলপনার দেহ উদ্ধার হয়। তাঁদের উপর বাগানবাড়ি দেখভালের দায়িত্ব ছিল। দু’জনকেই খুন করে বাক্সে পুরে রেখে গিয়েছিল আততায়ীরা। ঠিক কবে এই ঘটনা ঘটেছে তা জানা যায়নি। বাগানবাড়িটির মালিক দীপঙ্কর দে নামে এক ব্যক্তি। কলকাতার কসবায় অন্য একটি বাড়িতে থাকেন। মাঝেমধ্যে দীপঙ্করবাবু নরেন্দ্রপুরে সময় কাটাতে যেতেন। এদিন দীপঙ্করবাবু, তাঁর স্ত্রী ও এক ভাইপোকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। জমি সংক্রান্ত কোনও বিবাদ থেকে এই খুন কি না তা জানার চেষ্টা চলছে।
ঘটনাস্থল থেকে রক্তমাখা কাঁচি মিলেছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, প্রদীপবাবু বা তাঁর স্ত্রী ওই কাঁচিটি দিয়ে আততায়ীদের আঘাত করেছিলেন। ফরেনসিক তদন্ত করে রক্তের নমুনা মিলিয়ে দেখছে পুলিশ। দু’জনের দেহই আলাদা বাক্সে ভরে রাখা ছিল। ফলে দু’জনকে একসঙ্গেই খুন করা হয়েছে বলে অনুমান। তবে ঘটনা ঘটানো হয়েছে খুব সন্তর্পণে। দেহে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। পাওয়া গেছে একটি কাটারিও। সেটা দিয়েই দম্পতিকে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে বলে অনুমান। কী কারণে তাঁদের খুন করা হল, তার কারণ স্পষ্ট নয়। পুলিশের অনুমান, সম্পত্তি দখলের লোভে বাড়ির মালিককে ভয় দেখাতেও দেখভালের দায়িত্বে থাকা এই দম্পতিকে খুন করা হয়ে থাকতে পারে। পাশাপাশি সম্পর্কের টানাপোড়েনের কারণে খুনের বিষয়টিও উড়িয়ে দিচ্ছেন না তদন্তকারীরা। রবিবার রাতের পর থেকে দু’জনকেই আর দেখতে পাওয়া যায়নি এলাকায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.