দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: যেদিকে চোখ পড়বে, সেখানেই লেখা ‘২ শতাংশ’৷ আবার কোথাও তার নিচে লেখা বিনা অনুমতিতে ভিতরে প্রবেশ নিষেধ৷ চোখ খুললেই দরজা, জানলা, আলমারি, ঘরের দেওয়াল সর্বত্র একই লেখা৷ হ্যাঁ, এমনই অদ্ভুত পোস্টারে মুখ ঢেকেছে হুগলির চুঁচুড়ার পুরসভা৷ আপাতত রহস্যজনক এই পোস্টারই চুঁচুড়ায় আলোচনার হটকেক!
সোমবার সকালে পুরসভার ভিতর ঢুকে অবাক হন পুরকর্মী থেকে চেয়ারম্যান প্রত্যেকে৷ তাঁরা দেখেন পোস্টারে মুখ ঢেকেছে চুঁচুড়া পুরসভার সর্বত্র৷ কিন্তু এই ‘২ শতাংশ’-এর রহস্য কী? কাজ ফেলে চলতে থাকে তা নিয়ে আলোচনা৷ চুঁচুড়ার প্রত্যেকের মুখে মুখেই এখন ঘুরছে এই রহস্যজনক পোস্টারের কথা৷
পুরসভার চেয়ারম্যান গৌরীকান্ত মুখোপাধ্যায় যদিও প্রথমে পোস্টার-কাহিনি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন৷ পরে তিনি জানান, আর মাত্র কয়েক মাস পর পুজো৷ তাই হয়তো বোনাসের দাবিতেই পোস্টার টাঙিয়ে নিঃশব্দ বিপ্লব কর্মীদের৷ ২ শতাংশের পোস্টারে এই যুক্তি নয় খাটল৷ কিন্তু প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে কেন টাঙানো হল পোস্টার, সে বিষয়ে সদুত্তর দিতে পারেননি পুরসভার চেয়ারম্যান৷
চেয়ারম্যানের কথা মোটেও সমর্থন করতে পারছেন না স্থানীয় বাসিন্দারা৷ অন্য সুর তাঁদের গলায়৷ তাঁদের মত, ২ শতাংশ ও প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার পোস্টার দিয়ে নাকি আর্থিক লেনদেনের ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে৷ কানাঘুষো চলছে, এ বিষয়টি নাকি জানা রয়েছে পুর কর্তৃপক্ষেরও৷ কিন্তু সুযোগ বুঝে গোটা ঘটনাকে ধামাচাপা দিতেই না জানার ভান করছেন চেয়ারম্যান৷
পুর-কর্তৃপক্ষের অনুমান, পুরসভা খোলা বা বন্ধের সময়ই এই কাজ কেউ করে থাকতে পারেন৷ সেক্ষেত্রে ঘটনার কিনারার সঠিক সন্ধানকারী হতে পারে একমাত্র সিসিটিভি ফুটেজ৷ কিন্তু নাহ! কোনওভাবেই যে সোজা অঙ্কে চলছে না গোটা ঘটনা৷ চেয়ারম্যান গৌরীকান্তবাবুর দাবি, সিসিটিভি ফুটেজে নাকি কিছুই ধরা পড়েনি৷ কিন্তু কেন পোস্টার রহস্য ধরা পড়ল না সিসি ক্যামেরায়? এতেই আরও জটিল হয়েছে গোটা ঘটনা৷ কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে সাপ বেড়িয়ে পরার আশঙ্কাতেই কি ‘অকেজো’ হয়ে গেল সিসিটিভি ক্যামেরা? উঠছে সেই প্রশ্নও৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.