টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: কেউ বলছে, এযেন হিন্দু পুরাণে বর্ণিত শকুন্তলা ও রাজা দুষ্মন্তের গল্প। কেউ আবার এই মাছের তুলনা করছে সোনার ডিম পাড়া মুরগির সঙ্গে। মাছের পেট থেকে সোনার নাকের নথ পাওয়া যেতে পারে বিশ্বাস করতে পারছেন না কেউই৷ বিষয়টি অবিশ্বাস্য লাগছে খোদ মাছ বিক্রেতা মমতা ধীবরের কাছেও৷ তাঁর দীর্ঘ মীন ব্যবসার জীবনে এমন ঘটনা বিরল৷ যাকে ঘিরে এখনও শোরগোল পড়ে রয়েছে বাঁকুড়া জেলার তামলিবাঁধ সবজির বাজারে৷
[স্কুলের শৌচাগারে মাথায় গুলি করে আত্মঘাতী ছাত্র, চাঞ্চল্য পূর্ব বর্ধমানে]
জানা গিয়েছে, এই বিরল ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার সকালে৷ যা চমকে দিয়েছে বাঁকুড়ার তামলিবাঁধ সবজির বাজারে আগত ক্রেতা-বিক্রেতা সকলকেই। মাছের পেট থেকে সোনার নথ পাওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসাতেই বাঁকুড়া শহরজুড়ে হইহই-রইরই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সকলে ছুটে ছুটে আসছেন মমতা ধীবরের কাছে৷ একবার সেই মাছের দর্শন পেয়ে নিজেদের চোখকে সার্থক করতে চাইছেন প্রত্যেকে৷
[রাতভর অনলাইনে ঝগড়া, প্রেমিকাকে ছবি পাঠিয়ে আত্মঘাতী প্রেমিক]
বাঁকুড়ার কেওটপাড়ার বাসিন্দা মমতা ধীবর দীর্ঘ কয়েক বছর ধরেই জেলার তামলিবাঁধ বাজারের মাছ বিক্রি করেন৷ অন্যান্যদিনের মতোই মঙ্গলবার সকাল তাঁর কাছে আসছিল একাধিক ক্রেতা৷ আপন মনে মাছ বিক্রি করছিলেন তিনি৷ কখনও গোটা, কখনও আবার কাটা৷ ক্রেতাদের চাহিদা মতো মাছের জোগান দিচ্ছিলেন মাছের। একটি রুইয়ের পেটে কোপ বসাতে গিয়ে থমকে যান মমতা দেবী৷ ‘খট! করে ওটা কীসের শব্দ হল?’ ভাল করে খতিয়ে দেখে তাঁর চক্ষুচড়ক গাছ হয়ে যায়৷ দেখেন ওই রুইয়ের পেট থেকে বেরিয়ে এলে আস্ত একটা সোনালি নাকের নথ। বাকিটা ইতিহাস৷ রাতারাতি ওই বাজারের সেলিব্রিটিতে পরিণত হলেন মমতা ধীবর৷ তাঁকে দেখতে দূর দূর থেকে লোক ছুটে আসতে লাগল৷ উৎসাহী জনতার ভিড় উপচে পড়তে শুরু করল তাঁর দোকানের সামনে৷ ভিড় সামাল দিতে কার্যত মেজাজ হারান মমতা দেবী৷ এখন নাকি মাছে বা সোনার নথের প্রসঙ্গ তুললেই তেড়ে মারতে আসছেন৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.