সুনীপা চক্রবর্তী, ঝাড়গ্রাম: ঘরের মধ্যে থেকে এক ব্যক্তির ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ঝাড়গ্রামের (Jhargram) আগুইবনিতে। মঙ্গলবার ভোরে নেতুরা বাসস্ট্যান্ডের কাছে এই ঘটনায় তদন্তে নেমেছে পুলিশ। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। জানা যাচ্ছে, ওই ব্যক্তির স্ত্রী এক মাস আগে বাপের বাড়ি চলে যান। তারপর থেকে তিনি প্রায় ঘরবন্দি ছিলেন। কয়েকদিন ধরে তাঁকে একেবারেই দেখা যায়নি বাইরে। সন্দেহ হওয়ায় আজ সকালে বাড়িতে গিয়ে প্রতিবেশীরা দেখেন, ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় পড়ে রয়েছে তাঁর মৃতদেহ।ষ এরপরই পুলিশে খবর দেওয়া হয়। শুরু হয়েছে তদন্ত। খুন (Murder) নাকি আত্মহত্যা, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ঝাড়গ্রামের আগুইবনির নেতু বাসস্ট্যান্ডের কাছে থাকতেন রজত কুমার বায়েন নামে বছর পঞ্চাশের এক ব্যক্তি। মাস খানেক আগে থেকে বাড়িতে ছিলেন না স্ত্রী ও বাচ্চারা। রজতবাবু জানিয়েছিলেন, সকলে গিয়ে ঝাড়খণ্ডে, তাঁর শ্বশুরবাড়িতে। এরপর থেকে তিনি আর বাড়ি থেকে বেরচ্ছিলেন না। তিন-চারদিন ধরে রজতবাবুকে আর কেউ দেখেননি। এরপরই প্রতিবেশীদের সন্দেহ হয়। মঙ্গলবার ভোর ৫টা নাগাদ রজতবাবুর বাড়ির দরজা খুলে তাঁরা দেখেন, ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন তিনি। বাড়ির জিনিসপত্র এলোমেলো।
রজত কুমার বায়েনের ভাই প্রসেনজিৎ কুমার বায়েন জানান, তাঁদের পরিবারের তিন ভাই। কিন্তু তাঁরা সকলেই আলাদা আলাদা থাকেন। কেউ কারও সঙ্গে কথা বলেন না। আজ সকালে এমন ঘটনা দেখে তিনি বিস্মিত। জানান, দাদার শরীরে অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। জানা যায়, স্ত্রী ঝগড়া করে বাচ্চাদের নিয়ে বাপের বাড়ি চলে গিয়েছিলেন। তারপর থেকেই চুপচাপ নিজের ঘরেই থাকতেন রজতবাবু। মৃতদেহ উদ্ধারের পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুলিশ প্রাথমিকভাবে মনে করছে, কেউ বাড়িতে ঢুকে লুটপাটের উদ্দেশে তাঁকে খুন করেছে। মৃতদেহ ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়ে শুরু হয়েছে তদন্ত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.