নিজস্ব সংবাদদাতা, হুগলি ও বারাকপুর: তাঁকে ঘিরে রাজ্যের বাম ছাত্র-যুবদের উচ্ছ্বাসের অন্ত নেই। কিন্তু শেষ লগ্নে এসে সেই তিনিই তুমুল বিড়ম্বনা তৈরি করলেন বামফ্রন্টের মধ্যে। তিনি কানহাইয়া কুমার। সিপিআইয়ের শীর্ষ ছাত্রনেতা। বুধবার হুগলিতে এক জনসভায় তিনি বলেছেন, “সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম কাণ্ডের জন্য বাম নেতাদের মানুষের কাছে গিয়ে ক্ষমা চাওয়া উচিত। অন্তত তিনি রাজ্য বামফ্রন্টের নেতা হলে মানুষের কাছে গিয়ে ক্ষমা চাইতেন।” হুগলির শ্রীরামপুরে এই মন্তব্য করার পর উত্তর ২৪ পরগনার ডানলপে আর একটি সভায় আরও একধাপ এগিয়ে তিনি বলেন, কৃষকদের উপর গুলি চালানো ভুল হয়েছিল। তবে সে ভুল আমরা সংশোধন করে নিয়েছি।” বস্তুত, কোনওরকম ভূমিকা ছাড়াই কানহাইয়া কুমারের এমন মন্তব্য ঘিরে তুমুল আলোড়ন শুরু হয়েছে রাজ্য বামফ্রন্টের মধ্যে। তবে কানহাইয়া কুমারের পাশে দাঁড়িয়ে এই বক্তব্যকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছে সিপিআই।
এদিন কানহাইয়া কুমারের জনসভা ঘিরে কার্যত উত্তাল হয়ে ওঠে উত্তরপাড়া ও শ্রীরামপুর। শ্রীরামপুরে এই বাম যুবনেতাকে ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ শুরু হয়। তাঁকে রক্ষা করতে গিয়ে ইটের আঘাতে আহত হন একাধিক পুলিশকর্মী। অবস্থা নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশকে লাঠি চার্জ করতে হয়। জিটি রোডে কানহাইয়া কুমারের গাড়ির সামনে কালো পতাকা দেখানোকে ঘিরে তুমুল উত্তেজনা তৈরি হয়। রিষড়ার বাগখালে রাস্তার উপর বিক্ষোভকারীরা শুয়ে পড়ে। শ্রীরামপুর ধর্মতলার কাছে একদফা পথ আটকানো হয়। একইরকম পরিস্থিতি ডানলপেও।
শ্রীরামপুরের সভায় তাঁর বিস্ফোরক মন্তব্য ঘিরে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়েছে। খুব স্বাভাবিকভাবেই কানহাইয়া কুমারের এদিনের অভিযোগের তির বড় শরিক সিপিএমের দিকে। সিপিএমের কোনও নেতাই কিন্তু এদিন এই নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি। তবে সিপিআই রাজ্য সম্পাদক প্রবোধ পণ্ডা কানহাইয়া কুমারের বক্তব্যকে পূর্ণ সমর্থন করে বলেছেন, “সিপিআই আগের মতো এখনও সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামে গুলি চালনার ঘটনায় তীব্র বিরোধিতা করছে। এই বিষয়ে দলের অবস্থান স্পষ্ট।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.