ছবি: প্রতীকী
গৌতম ব্রহ্ম: জিআই তকমা পেল রাজ্যে তৈরি মসলিন। নবান্ন সূত্রে খবর, গত সোমবার কর্তৃপক্ষের তরফে লিখিতভাবে রাজ্য সরকারকে এই বিষয়টি জানানো হয়। বলে রাখা ভালো, পশ্চিমবঙ্গ খাদি ও গ্রামীণ শিল্প পর্ষদের তরফে মসলিনকে জিআই তকমা দেওয়ার জন্য গত ২০১৯ সালে রাজ্যের তরফে আবেদন করা হয়েছিল। অবশেষে মিলল সাফল্য। জিআই তকমা পাওয়ার ফলে বিশ্বের বাজারে রাজ্যের তৈরি মসলিনের চাহিদা বাড়বে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দপ্তরের মন্ত্রী ঊজ্জ্বল বিশ্বাস বলেন, “এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত মুর্শিদাবাদ, মালদহ, হুগলি, পূর্ব বর্ধমানের তাঁত শিল্পীরা উপকৃত হবেন।”
ভৌগোলিক নির্দেশক ট্যাগগুলি প্রাকৃতিক বা মানুষের তৈরি দুরকম পণ্যের ক্ষেত্রেই দেওয়া হয়। দেশের একটি নির্দিষ্ট ভৌগোলিক অঞ্চলের সঙ্গে তা সম্পর্কিত। ২০০৩ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে এই জিআই ট্যাগ কার্যকর হয়েছিল। ভারতের প্রথম জিআই ট্যাগ পেয়েছিল দার্জিলিংয়ের চা। বাংলার রসগোল্লা জিআই ট্যাগ পাবে কিনা তা নিয়ে বাংলা ও ওড়িশার মধ্যে কার্যত লড়াই হয়েছিল। এই টানাপোড়েনে শেষমেশ জয়ী হয়েছিল বাংলা। জিআই ট্যাগের সম্মান চলতি বছরে আসে টাঙ্গাইল, কোরিয়াল, গরদের হাত ধরে।
রাজ্যের যে সমস্ত পণ্য এই জিআই ট্যাগের সম্মান পেয়েছে সেগুলি হল দার্জিলিং চা, শান্তিনিকেতনের চামড়ার সামগ্রী, নকশী কাঁথা, লক্ষ্মণভোগ আম, ফজলি আম, হিমসাগর আম, শান্তিপুরী শাড়ি, ধনিয়াখালি শাড়ি, বালুচরি শাড়ি, জয়নগরের মোয়া, বর্ধমানের সীতাভোগ, বর্ধমানের মিহিদানা, বাংলার রসগোল্লা, তুলাইপঞ্জি চাল, গোবিন্দভোগ চাল, বাংলার পটচিত্র, ডোকরা শিল্প, মাদুরকাঠি, বাঁকুড়ার টেরাকোটা ঘোড়া, কুশমান্ডির কাঠের মুখোশ, পুরুলিয়ার ছৌ, সুন্দরবনের মৌবন মধু, টাঙ্গাইল, গরদ, করিয়াল শাড়ি এবং উত্তরবঙ্গের কালো নুনিয়া চাল। আর এবার বাংলার মুকুটে নয়া পালক। জিআই তকমা পেল রাজ্যে তৈরি মসলিন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.