অভিষেক চৌধুরী, কালনা: কালীর (Kali Puja) পাশেই পূজিত হয় একুশ ফুটের মহাদেবের বিশ্বমূর্তি। পুজো ঘিরে ৬ দিন ধরে মন্তেশ্বরের কুসুমগ্রাম পঞ্চায়েতের জয়রামপুরে চলে নানারকম অনুষ্ঠান। তাতে হিন্দুদের পাশাপাশি মেতে ওঠেন মুসলিমরা।
১৪৯ বছর আগে মন্তেশ্বরের কুসুমগ্রাম পঞ্চায়েতের জয়রামপুর গ্রামে শুরু হয় এই কালীপুজো। স্বাভাবিকভাবেই প্রতিবছর একটু একটু করেছে বেড়েছে জৌলুস। পুজো কমিটির সভাপতি হারাধন বন্দ্যোপাধ্যায় ও সম্পাদক শ্যামল পাইন জানান, এই পুজো শুরু করেছিলেন লক্ষ্মীকান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথম আট বছর তিনি বাড়ির কাছে পুজো করেন। পরে পরিবর্তন করা হয় জায়গা। বর্তমানে ত্রিশ ফুট উচ্চতার সুদৃশ্য মন্দিরে হয় দেবীর আরাধনা। ১০ ভরি সোনার গহনা ও ১৫০ ভরি রুপোর গহনা দিয়ে সাজানো হয় দেবীকে। চব্বিশ ফুটের কালী প্রতিমার পাশাপাশি একুশ ফুট মহাদেবের বিশ্বমূর্তির পুজো হয় মন্তেশ্বরের জয়রামপুরে। রীতিনীতি ও নিয়মকানুন মেনে পুজোর প্রথম দিন ও ভ্রাতৃদ্বিতীয়ার দিন ছাগবলি হয়।
ভক্তদের গভীর বিশ্বাস এখানে দেবীর নাম করে মাদুলি ধারণ করলে একাধিক দুরারোগ্য রোগ থেকে মুক্তি মেলে। তেমনই দেবীর প্রসাদী কলা খেলে সন্তান লাভ হয়। তাই দেবীর দর্শনে দূর থেকে মানুষ ভিড় করেন এখানে। এই পুজোকে কেন্দ্র করে এলাকায় আসেন শিল্পীরা। আয়োজন হবে যাত্রা, বাউল-সহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। অসহায় দুঃস্থদের বস্ত্রবিতরণও করা হয়। রয়েছে ভোগ বিতরণের ব্যবস্থাও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.