শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: চা বাগানে চোলাই মদের কারবার রুখতে এবার মাশরুম চাষকে হাতিয়ার করল জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশ। মদ বিক্রি বন্ধ করে মাশরুম চাষ করে চা শ্রমিকদের রোজগারের বিকল্প পথ দেখালেন তাঁরা।
রুজিরুটির জন্য চা বাগানে প্রায়শই মদের কারবারের খবর আসে। মাঝে মধ্যেই চোলাই ভাটি ভাঙতে অভিযান চালাতে হয় পুলিশকে। মদ বিক্রি বন্ধ করতে এবার মাশরুম চাষের ব্যবস্থা করল জলপাইগুড়ির কোতোয়ালির পুলিশ। জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের করলাভ্যালি চা-বাগানের মানুষদের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নতিকল্পে গীপা শেরপার বাড়িতে মাশরুম চাষের ব্যবস্থা করা হয়। প্রকল্পের উদ্বোধন করেন জলপাইগুড়ি জেলার পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতি। উপস্থিত ছিলেন, সদর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুচেতা কর, নিতাই কর, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়, আইসি কোতয়ালি বিশ্বাশ্রয় সরকার-সহ অন্যান্যরা। স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে দিয়েই এই মাশরুম চাষ করানো হচ্ছে।
কোতয়ালি থানা ও ব্লক প্রশাসনের উদ্যোগে এই মাশরুম চাষের প্রকল্প শুরু করা হয়। করলাভ্যালি চা বাগানের ম্যানেজার বলেন, “বাগানের মানুষের উন্নতি কল্পে যা সহযোগিতা দরকার সব রকম ভাবে আমরা সাহায্য করব।”পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতি জানান, এখানে মানুষের মধ্যে মদ কেনাবেচার একটা প্রবণতা আছে। মাঝে মধ্যেই আমাদের অভিযান চালাতে হয়। আমরা তাই মাশরুমের চাষের প্রকল্পে সূচনা করলাম। আপনারা কীভাবে এটা কাজে লাগাবেন তার উপর আপনাদের রোজগার নির্ভর করবে। আমরা এটা পরীক্ষামূলক ভাবে এই বাগানে চালু করলাম স্থানীয় প্রশাসনের সাহায্য নিয়ে। আগামিতে সব ঠিক থাকলে আরও করা হবে। মদ বিক্রি বন্ধ করে দিয়ে মানুষ যাতে মাশরুম চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করতে পারে তার জন্যই এই উদ্যোগ।”
বাগানের শ্রমিক তথা উপপ্রধান মহেশ রাউটিয়া জানান, পুলিশের এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। এখানে মদের কেনাবেচা হয় ঠিকই। মানুষ যদি এবার মাশরুম চাষের মধ্য দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে তাহলে ভাল হবে। এলাকার পরিবেশও ভাল থাকবে বলে জানান তিনি। এই খবরে খুশির হাওয়া ছড়িয়েছে চা-বাগানেও।
[মর্গে বাবা, কনেকে লগ্নভ্রষ্টা হতে না দিয়ে বিয়ের পিঁড়িতে শোকে বিহ্বল ছেলে]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.