সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুলিশ হেফাজতেই মঙ্গলবার রাত কেটেছে জিয়াগঞ্জ হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত উৎপল বেহরার। পুলিশ হেফাজতে কার্যত নির্লিপ্ত খুনি উৎপল। নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পরও এক ফোঁটাও অনুশোচনাও নেই তার। উৎপলের স্পষ্ট উক্তি, ‘ক্ষোভ ছিল তাই খুন করেছি।’
জিয়াগঞ্জ হত্যাকাণ্ডের তদন্তে নেমে ৭ দিনের মাথায় মূল অভিযুক্ত উৎপল বেহরাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অভিযুক্তকে ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। পুলিশ হেফাজতে নিয়ে উৎপলকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করার পর প্রকাশ্যে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গিয়েছ, ৫ অক্টোরব খুনের অস্ত্র কিনেছিল উৎপল। ৮ তারিখ পর্যন্ত ব্যাগেই ছিল সেই অস্ত্রটি। ব্যাগে অস্ত্র নিয়ে রীতিমতো প্রতিমা দর্শনও করেছিল সে।
কারণ, তাঁর পরিকল্পনা ছিল যেখানে বন্ধুপ্রকাশ পালের সঙ্গে দেখা হবে সেখানেই তাঁকে খুন করবে। সেই পরিকল্পনামাফিক দশমীর দিন বন্ধুপ্রকাশ পাল ও তাঁর গোটা পরিবারকে হত্যা করে উৎপল। যদিও খুনের জন্য এতটুকুও অনুতপ্ত নয় সে। পুলিশ সূত্রে খবর, নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পিছনে কারণ জিজ্ঞেস করায় নির্লিপ্তভাবে উৎপল জানায়, শেষ দেখে ছাড়বে বলে স্থির করেছিল সে।
দশমীর সকালে বাড়িতে ঢুকে মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জের কানাইগঞ্জ লেবুবাগানের বাসিন্দা বন্ধুপ্রকাশ পাল তাঁর স্ত্রী ও সন্তানকে নৃশংসভাবে খুন করে আততায়ীরা। তদন্তে শুরুর পর প্রথমেই প্রকাশ্যে এসেছিল সৌভিক বণিক নামে এক ব্যক্তির নাম। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেও খুনের কিনারা করতে পারেননি তদন্তকারীরা। এরপর প্রকাশ্যে আসে উৎপল বেহরার নাম। জানা যায়, ঘটনার ৭ দিনের মাথায় গ্রেপ্তার করা হয় মূল অভিযুক্ত পেশায় রাজমিস্ত্রি উৎপল বেহরাকে। প্রকাশ্যে আসে নিহত শিক্ষকের একাধিক বিমা সংস্থার সঙ্গে জড়িত থাকার তথ্য। উৎপলও তাঁর কাছে বিমার টাকা দেয়। কিন্তু রশিদ চাইতেই জানতে পারে জমাই পড়েনি সেই টাকা। অভিযোগ, এরপর সেই টাকা ফেরত চাইলে অভিযুক্তকে গালিগালাজ করেন নিহত শিক্ষক। এই ক্ষোভেই খুনের ছক কষতে শুরু করেছিল উৎপল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.