কল্যাণ চন্দ, বহরমপুর: সম্পর্কের টানাপোড়েনের জেরে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন স্ত্রী। স্ত্রীর সঙ্গে ছবি বুকে নিয়ে আত্মঘাতী হলেন স্বামী। রক্ত দিয়ে লিখলেন স্ত্রীর নাম। ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোকের ছায়া মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বহরমপুরের দৌলতাবাদে।
মৃতের নাম প্রণব চক্রবর্তী। দীর্ঘ প্রণয়ের পর সাগরপাড়ার নূপুর চক্রবর্তীকে বিয়ে করেছিলেন দৌলতাবাদের প্রণব। বিয়ের আগে অন্য এক যুবকের সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্ক ছিল নুপুরের। একথা জানাজানি হতেই দাম্পত্য কলহ শুরু হয়। মনোমালিন্যর কারণে গত মঙ্গলবার শ্বশুরবাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন নূপুর। সুইসাইড নোটে লিখে গিয়েছিলেন নিজের ভুলের কথা। মা-বাবার উদ্দেশে বলেছিলেন, স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়িকে দোষ না দিয়ে মিলেমিশে শেষকৃত্য করতে। স্ত্রীর শোকেই চরম সিদ্ধান্ত নিলেন প্রণব। বৃহস্পতিবার সকালে বাড়িতে ঢুকে ছেলেকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখেন তাঁর মা পূর্ণিমা চক্রবর্তী। তাঁর বুকে ছিল স্ত্রীর সঙ্গে ছবি। দেওয়ালে রক্ত দিয়ে লেখা ছিল, “নূপুর আমার জীবন।” এদিন মৃতের মা পূর্ণিমা দেবী বলেন, বুধবার বউমার সৎকার সেরে তিনি আর নিজের বাড়িতে ঢোকেননি। পাড়ার এক আত্মীয়ের বাড়িতে ছিলেন। এদিকে বউমার মৃত্যুর পর তার ছেলে প্রণব নিখোঁজ হয়ে যায়।
মৃতের বাবা রবীন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেন, তাঁর ছেলে স্ত্রীকে খুব ভালোসতেন। নূপুর যেদিন আত্মহত্যা করে সেদিন প্রণবও আত্মহত্যা করতে গিয়েছিল। কিন্তু বাড়ির লোক দেখে ফেলায় প্রণব বেঁচে যায়। এর পর মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল প্রণব। মঙ্গলবার হাসপাতাল ছেড়ে পালায় সে। বৃহস্পতিবার সকালে নিজের বাড়িতে ঢুকে আত্মহত্যা করে সে। ছেলের এই পরিণতিতে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন তিনি। পুলিশ জানিয়েছে, ভালোবাসার কারণেই ওই যুগল আত্মহত্যা করেছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.