ছবি: প্রতীকী
ধীমান রায়, কাটোয়া: স্বামীর উপর অভিমান করে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বাসিন্দা এক বধূ। সেই মতো গভীর রাতে ঝাঁপও দিয়েছিলেন নদীতে। কিন্তু কথাতেই আছে, “রাখে হরি তো, মারে কে।” জলে ঝাঁপ দিয়েও কেবলমাত্র কচুরিপানার জন্যই প্রাণে বেঁচে গেলেন ওই বধূ। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি।
জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদ সালার থানার টিয়াগ্রামের বাসিন্দা ওই মহিলার নাম রূপালী মণ্ডল। তাঁর স্বামী কেষ্ট মণ্ডল পেশায় সবজি বিক্রেতা। রূপালীদেবীর কথায়, স্বামী রাত করে বাড়ি ফেরা নিয়ে প্রায়ই দু’জনের অশান্তি হত। শুক্রবার রাতে সেই একই কারণে দম্পতির মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। তার জেরে দু’জনেই রাতে খাওয়াদাওয়া করেননি। এরপর রাত প্রায় সাড়ে বারোটা নাগাদ স্বামীর নজর এড়িয়ে রূপালীদেবী বাড়ির পাশের বাবলা নদীতে ঝাঁপ দেন।
বাবলা নদী টিয়াগ্রাম থেকে কিছুটা দূরেই ভাগীরথীতে মিশেছে। রূপালীদেবী সাঁতার কিছুটা জানতেন। ঝাঁপ দেওয়ার পর মৃত্যু ভয় জাঁকিয়ে বসে তাঁর মনে। ফের বাঁচার সাধ হয়। সেই কারণে সাঁতার কাটতে শুরু করেন। ভেসে চলে যান ভাগীরথী পর্যন্ত। কিন্তু এরপর হাঁফিয়ে ওঠেন। সেইসময় অন্ধকারের মধ্যেই তিনি অনুভব করেন যে, চারপাশে বেশকিছু কচুরিপানা রয়েছে। সঙ্গে গাছের দু’চারটে ডালপালাও। সেগুলিকেই আঁকড়েই রাত কাটান রূপালীদেবী।
শনিবার সকাল প্রায় সাড়ে আটটা নাগাদ কাটোয়া বল্লভপাড়া ঘাটের দিক থেকে নৌকোয় কাটোয়ার দিকে যাচ্ছিলেন মাঝি হাবল ঘোষ। হাবলের কথায়, “মাঝনদীতে দেখি কচুরিপানার ঝাঁকে একটা হাত নড়ছে। কোনও মানুষ রয়েছে ভেবেই কাছে যাই। গিয়ে দেখি ওই মহিলা মাথাটা কিছুটা তুললেন। তাড়াতাড়ি নৌকা থেকে হাত বাড়িয়ে দিতেই উনি নৌকোয় ওঠার চেষ্টা করেন। ধরে ধরে নৌকায় তুলি।” কাটোয়া ফেরিঘাটে নিয়ে আসার পর পুলিশকে জানানো হয়। ওই মহিলাকে হাসপাতালে রয়েছেন। পুলিশের তরফে তাঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে বলেই জানা গিয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.