প্রতীকী ছবি।
চন্দ্রজিৎ মজুমদার, কান্দি: মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বড়ঞায় একই পরিবারে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে মৃত্যু হল মা ও মেয়ের। জলে ডুবে মায়ের মৃত্যুর পর আত্মঘাতী বিশেষ শারীরিক ক্ষমতাসম্পন্ন মেয়ে। মঙ্গলবার দুপুর থেকে নিখোঁজ ছিলেন গৃহবধূ তরুলতা বিত্তার। রাতে বাড়ির কাছে পুকুর থেকে উদ্ধার হয় তাঁর দেহ। মায়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করেন মেয়ে তনুশ্রী বিত্তার। ঘটনায় এলাকায় নেমেছে শোকের ছায়া।
মুর্শিদাবাদের বড়ঞা থানা এলাকার অমৃত মুনিগ্রামের বাসিন্দা তনুশ্রী বিত্তার। শারীরিকভাবে বিশেষ সক্ষম তিনি। থাকতেন মায়ের কাছেই। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন মা অন্তপ্রাণ ছিলেন বিশেষ শারীরিক ক্ষমতাসম্পন্ন মেয়ে। মঙ্গলবার দুপুর থেকে নিখোঁজ ছিলেন মা তরুলতা বিত্তার। পরে খবর আসে জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। সেই শোকেই মঙ্গলবার রাতেই কীটনাশক খান তনুশ্রী। পরিবার ও গ্রামের লোকরা আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে কান্দি মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করে। চিকিৎসা চলাকালীন বুধবার মৃত্যু হয় তনুশ্রীর।
মৃত তরুলতা দেবীর স্বামী অরুণ বিত্তার বলেন, “আমার এক ছেলে ও এক মেয়ে। মেয়ে তনুশ্রীর বিশেষ শারীরিক ক্ষমতাসম্পন্ন হওয়ায় বিয়ে হয়নি। মা ওকে সবথেকে বেশি ভালোবাসত। মঙ্গলবার বিকেল থেকে আমার স্ত্রীর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। সন্ধ্যায় বাড়ির কাছে পুকুর থেকে দেহ উদ্ধার হয়। ওই দুঃখ ভুলতে পারেনি মেয়ে। রাতেই জমিতে দেওয়ার কীটনাশক খেয়ে নেয়। কান্দি মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করি। হাসপাতালেই মারা যায়।” মৃতের দাদা টোটন বিত্তার জানিয়েছেন, “আমরা একসঙ্গেই থাকতাম। মা ওর দেখাশোনা করতেন। মায়ের শোকে এইভাবে আত্মহত্যা করবে বুঝতে পারিনি।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.