Advertisement
Advertisement
Murshidabad

শরীরে ক্ষত, গালে ছ্যাঁকা! রাতভর নিখোঁজ কিশোরের দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য লালগোলায়

মঙ্গলবার বিকেলে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে যায় সে, বুধবার সকালে উদ্ধার হয় ১১ বছরের ছেলেটির মৃতদেহ।

Murshidabad: Body of teenager recovered from Lalgola

প্রতীকী ছবি।

Published by: Subhankar Patra
  • Posted:November 27, 2024 4:50 pm
  • Updated:November 27, 2024 7:00 pm  

সাবিরুজ্জামান, লালবাগ: লালগোলায় এক কিশোরের রহস্যমৃত্যু ঘিরে ছড়াল চাঞ্চল্য। বুধবার সকালে ঝোপ থেকে উদ্ধার হয় তার দেহ। পরিবারের দাবি, ছেলেকে খুন করে দেহ লোপাট করে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। তবে এনিয়ে পুলিশে অভিযোগ দায়ের না হওয়ায় খুনের মামলা রুজু হয়নি। পুলিশ দেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। 

পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত কিশোরে নাম সুরজিৎ দাস। বয়স ১১ বছর। সাগিয়া জগন্নাথপুর এলাকার বাসিন্দা সুরজিৎ পঞ্চম শ্রেণির পড়ুয়া। অন্যান্যদিনের মতো মঙ্গলবারও স্কুল থেকে ফিরে ছোট ভাইকে সঙ্গে নিয়ে খেলতে যায় সে। সন্ধ্যায় ভাই ফিরে আসলেও সুরজিৎ বাড়ি ফেরেনি। সে বাবা-মাকে জানায়, দাদা জঙ্গলের দিকে গিয়েছিল। অন্ধকার নেমে এলেও সুরজিৎ ফিরে না আসায় বাবা বিশ্বজিৎ দাস ও মা সাবিত্রী উদ্বিগ্ন হয়ে আশেপাশে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। স্থানীয়দের ছেলের কথা জিজ্ঞাসা করলে কেউ কিছু বলতে পারেননি। বাড়ির পাশের পুকুরেও খোঁজা হয় সুরজিৎকে। কিন্তু রাত পর্যন্ত কোনও হদিশ না মেলায় পুলিশের দ্বারস্থ হয় পরিবার।

Advertisement

বুধবার সকালে বাড়ির অদূরে পুকুর ধারের ঝোপ থেকে উদ্ধার হয় সুরজিতের ক্ষতবিক্ষত দেহ। পরিবারের দাবি, তার দেহে একাধিক ক্ষত রয়েছে। গালে বিড়ির ছ্যাঁকার দাগও মিলেছে। মৃতের বাবা বিশ্বজিৎ দাসের কথায়, “আমার ছেলেকে কেউ বিকেলের পরে ডেকে নিয়ে গিয়ে চরম শারীরিক নির্যাতন করে খুন করেছে।” ছেলের দেহ উদ্ধারের পর থেকে বার বার সংজ্ঞা হারাচ্ছেন তার মা। তিনি বলেন, “আমার বড় ছেলে একটু চঞ্চল প্রকৃতির। সেই জন্য ছোট ছেলে সবসময় ওর সঙ্গে থাকত। মঙ্গলবার খেলতে বেরনোর পর ছোট ছেলে বলেছিল, দাদা জঙ্গলের দিকে যাচ্ছে। কিন্তু তার পরে যে এই ঘটনা ঘটবে তা আমরা দুঃস্বপ্নেও ভাবিনি। ওকে আশেপাশের কেউ খুন করে দেহ ফেলে দিয়ে গিয়েছে।”

প্রাথমিকভাবে খুনের অভিযোগ তুললেও কারও বিরুদ্ধে এখনও খুনের অভিযোগ দায়ের করেনি পরিবার। তাঁদের কোনও শত্রু নেই বলেই জানিয়েছেন মা-বাবা। ঘটনা প্রসঙ্গে ভগবানগোলার এসডিপিও উত্তম ঘড়াই বলেন, “খুনের কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।” 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement