Advertisement
Advertisement

চাহিদা বাড়ছে সেভেন এমএম-এর, ভোটের মুখে নজরে ‘মুঙ্গেরি মিস্ত্রি’

সস্তার ওয়ান শটারের বদলে এখন দুষ্কৃতীদের পছন্দ সেভেন এমএম।

Munger arms under lens in Bengal
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:March 12, 2019 9:33 am
  • Updated:March 12, 2019 9:33 am  

অর্ণব আইচ: মুঙ্গেরি ৭ এমএম। তৈরির কারিগর বিহারের মুঙ্গেরের ‘মিস্ত্রি’রা। ভোট ঘোষণা হওয়ার পর এবার সেই মুঙ্গেরি ৭ এমএম-এর সন্ধানেই নামলেন গোয়েন্দারা। সঙ্গে তাঁদের নজর ওয়ান শটার আর ৯ এমএম-এর দিকেও। পুলিশ জানিয়েছে, গত কয়েক দফায় শহরে বেশ কিছু অস্ত্র উদ্ধার করেছেন কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দারা। এমনকী, জাল নোটের আড়ালে অস্ত্র পাচারের চক্রও ধরা পড়েছে তাঁদের হাতে। তদন্ত করে গোয়েন্দারা জেনেছেন, পুরো চক্রের মূলে রয়েছে মুঙ্গেরের অস্ত্র পাচারের কিছু মাথা। তারা কাজে লাগাচ্ছে মুঙ্গের থেকে নিয়ে আসা ‘মিস্ত্রি’দের। সেই ‘মিস্ত্রি’দের দিয়েই তৈরি করানো হচ্ছে অস্ত্র। তাই এবার সেই ‘মুঙ্গেরি’ চক্রর উপর বিশেষ নজর গোয়েন্দাদের। ভোটের আগে থেকেই শহরে অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়ে পুলিশ গুরুত্ব দিচ্ছে।

[নির্বাচনী আচরণবিধি মানছে না তৃণমূল, কমিশনের কাছে নালিশ বিজেপির]

Advertisement

গোয়েন্দা পুলিশের কাছে খবর, শহরের দুষ্কৃতীদের একটি বড় অংশের কাছে রয়েছে আগ্নেয়াস্ত্র। সস্তা বলে বেশিরভাগ দুষ্কৃতীই ওয়ান শটার জোগাড় করে। এই বেআইনি রিভলভারটির জন্য সাধারণভাবে প্রয়োজন হয় পয়েন্ট ৩০৩ বুলেট। যদিও এখন দুষ্কৃতীদের বিশেষ পছন্দ ৭ এমএম পিস্তল। যেহেতু ৯ এমএম পিস্তলের চেয়ে এই পিস্তল দেখতে ছোট, কিন্তু আক্রমণের দিক থেকে যথেষ্ট কার্যকর, তাই কাছে একটি  ৭ এমএম পিস্তলই থাকলেই, কাজ শেষ। পকেটের ভিতর অনায়াসেই ধরে যেতে পারে এই অস্ত্র। শহরে মজুত এই অস্ত্রের সন্ধানে প্রতিনিয়ত চলছে শহরের প্রত্যেকটি থানা ও লালবাজারের গোয়েন্দা পুলিশের তল্লাশি। একই সঙ্গে ‘মুঙ্গের মেড’ অস্ত্রের সন্ধান চালাচ্ছেন লালবাজারের গোয়েন্দারা।

গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে, এর আগেও পূর্ব কলকাতার তিলজলা এলাকায় সন্ধান মিলেছিল অস্ত্র কারখানার। তারপরও উত্তর ২৪ পরগনা থেকে অস্ত্র কারখানার সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল। ওই কারখানা যারা চালাচ্ছিল, তারা মূলত মুঙ্গেরের বাসিন্দা। এখানে অসমাপ্ত ৭ এমএম বা ৯ এমএম পিস্তল তৈরি করে তা যে ফের মালদহ ও বিহারের কিছু জায়গায় পাচার করা হত, তার প্রমাণ মিলেছিল। এ ছাড়াও ভোটের আগে ‘মুঙ্গের মেড’ বেশ কিছু পিস্তল সেখানে তৈরি করে জামালপুর এক্সপ্রেস বা অন্য ট্রেনে করে কলকাতা ও তার আশপাশে বিক্রি করা হতে পারে, এমন সম্ভাবনাও গোয়েন্দারা উড়িয়ে দিচ্ছেন না। কলকাতায় অস্ত্রের ‘এজেন্ট’রা আগেও আগাম টাকা দিয়ে অর্ডার দিয়ে কলকাতায় অস্ত্র পাচার করেছে। কিন্তু গত কয়েক বছর আগে অস্ত্র পাচারকারীরা নতুন যে পদ্ধতি নিয়েছে, তার বিরুদ্ধেই এবার স্ট্র‌্যাটেজি সাজাচ্ছেন গোয়েন্দারা।

[কাটল জট, শ্রমিকদের মুখে হাসি ফুটিয়ে দরজা খুলছে দেবপাড়া চা বাগানের]

দেখা গিয়েছে, কলকাতা বা তার আশপাশে বাড়ি ভাড়া নিয়ে রীতিমতো লেদের কারখানা তৈরি করেছে মুঙ্গেরের অস্ত্র পাচারকারীরা। লেদের কারখানার আড়ালে তৈরি হয়েছে অস্ত্রের অংশ ও পুরো অস্ত্র। অর্ডারমতো সেই অস্ত্র ও অস্ত্রের অংশ পাচার করা হয়েছে কলকাতা ও বিভিন্ন জায়গায় এজেন্টদের কাছে। ভোটের আগে যাতে এই পদ্ধতিতে মুঙ্গেরি অস্ত্র পাচার না হয়, তার জন্য এখন থেকেই নজরদারি শুরু করেছেন গোয়েন্দারা। বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে কলকাতা ও তার আশপাশে নতুন তৈরি হওয়া লেদ কারখানার উপর। মুঙ্গেরি অস্ত্র পাচার ও লেনদেনের বিষয়েও কড়া নজর রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement