সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পড়ুয়াদের বাধা সত্ত্বেও বিশ্বভারতীর সেমিনার হলে পৌঁছেছিলেন রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত। কিন্তু সেখানেই আটকে পড়লেন তিনি। বিজেপি সাংসদকে আটকাতে সেমিনার হলের দু’দিনের দরজা বন্ধ করে চারিপাশ থেকে তা ঘিরে ফেলল পড়ুয়ারা। অভিযোগ, বাইরে ক্রমাগত আক্রমণ চালানো হচ্ছে হলের ভিতর। ছোঁড়া হচ্ছে ইট-পাথর। একাধিক বেরনোর চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হয়েছেন বিজেপি সাংসদ। এদিনের ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন স্বপন দাশগুপ্ত। গোটা ঘটনাকে ফ্যাসিবাদের সঙ্গে তুলনা করেন তিনি।
কয়েকদিন আগেই বিশ্বভারতীর ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়, বিশ্বভারতীর কোট সদস্য তথা বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত বিশ্বভারতীর একটি সেমিনারে যোগ দেবেন। সেখানে ‘The CAA-2019: Understanding and Interpretation’ এই বিষয়ের উপর বক্তৃতা দেবেন তিনি। জানানো হয়েছিল বিশ্বভারতীর লিপিকা প্রেক্ষাগৃহে সেই বক্তৃতার আয়োজন করা হবে। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই সেমিনার বয়কটের ডাক দেন পড়ুয়া ও অধ্যাপকদের একাংশ। তাঁদের পাশে দাঁড়ান ছাত্র-অধ্যাপকদের একাধিক সংগঠন। তাঁরা প্রশ্ন তোলেন বিশ্বভারতীতে এহেন বক্তৃতার প্রয়োজনীয়তা নিয়েও।
পড়ুয়াদের বক্তব্যের গুরুত্ব না দিয়ে নির্দিষ্ট সময়ে অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে হাজির হন বিজেপি সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত। কিন্তু বিশ্বভারতীতে পৌঁছেই বিক্ষোভের মুখে পড়েন রাজ্যসভার সাংসদ। বিজেপি সাংসদকে কালো পতাকা দেখায় পড়ুয়ারা। বিক্ষোভ সরিয়ে সেমিনার হলে প্রবেশও করেন তিনি। কিন্তু তারপর দীর্ঘ কয়েকঘণ্টা ধরে সেখানেই আটকে স্বপন দাশগুপ্ত। রয়েছেন দুধকুমার মণ্ডলও। পড়ুয়াদের প্রশ্ন, বিশ্বভারতীর নিজস্ব সেমিনারে কেন উপস্থিত হলেন বিজেপি নেতারা? কাদের আমন্ত্রণে সেখানে এসেছেন তাঁরা। তবে এদিনে ঘটনা প্রসঙ্গে এখনও উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.