রাহুল চক্রবর্তী: রাশিয়া থেকে বাংলার দূরত্ব যতই হোক না কেন, ফুটবল জ্বরের ভাইরাস যেন ক্রমশই ছড়িয়ে পড়ছে কলকাতা থেকে শহরতলি, শহরতলি থেকে জেলা। জ্বরে কাবু ক্লাস ফাইভের ছাত্র থেকে বৃদ্ধা। ফুটবল-জ্বরের হাত থেকে রেহাই পেলেন না তৃণমূল সাংসদ সৌমিত্র খাঁও। তাই নিজের লোকসভা কেন্দ্রে আয়োজন করছেন, ‘এমপি নকআউট ফুটবল টুর্নামেন্ট’। বিশ্বকাপ ফুটবলের আসরের মধ্যে উদ্বোধন হলেও, ফাইনাল হবে মহালয়ার দিন।
সাধারণত দেখা যায়, তাবড় রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীরাও বিশ্বকাপ ফুটবলের আনন্দকে রাতজেগে উপভোগ করতে বিন্দুমাত্র কসুর করেন না। পছন্দের দলের সমর্থনে গলা ফাটান। খেলা দেখার জন্য রাজনৈতিক কাজকর্মের শিডিউলেও বদল আনেন। আবার পাড়ার ছেলেদের সঙ্গে নিয়ে বড় পর্দায় খেলা দেখতেও দেখা যায় নেতাদের। আর এই ফুটবল-জ্বরে আক্রান্ত হয়ে নিজের লোকসভা কেন্দ্রে ‘নকআউট টুর্নামেন্ট’-এর আয়োজন করলেন বিষ্ণুপুরের তৃণমূল সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। তাঁর বক্তব্য, “বিশ্বকাপ ফুটবল দেখব না, পছন্দের দলকে সাপোর্ট করব না, এটা হতে পারে? জনপ্রতিনিধি হওয়ার আগে থেকেই এলাকার লোকজন একসঙ্গে হয়ে খেলা দেখতাম। আর এবার বিশ্বকাপ ফুটবলের সময়কালে বিষ্ণুপুর লোকসভা থেকে ভাল টিম তৈরি করে কলকাতা ডিভিশনে খেলানোর একটা পরিকল্পনা নিয়েছি। তারজন্যই নকআউট টুর্নামেন্ট। বাংলার ফুটবলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।”
সাংসদ জানিয়েছেন, বিষ্ণুপুর মহকুমায় আটটা ব্লক থেকে ৬৪টি টিম খেলবে এই টুর্নামেন্টে। পরবর্তী পর্যায়ে প্রতি ব্লক থেকে দুটি করে মোট ১৬টি টিম উঠে আসবে কোয়ার্টার ফাইনালে। সেখান থেকে সেমিফাইনাল হয়ে ফাইনাল। টুর্নামেন্ট শুরু হচ্ছে ৭ জুলাই। ফাইনাল হবে মহালয়ার দিন। অর্থাৎ প্রায় মাস তিনেক ধরে টুর্নামেন্ট চলবে। ৯০ মিনিটের খেলায় ১১ জনের মধ্যে তিনজন এলাকার বাইরের প্লেয়ারও আনা যাবে এই টুর্নামেন্টে। সৌমিত্রবাবু আর্জেন্টিনার সাপোর্টার। নিজেই জানিয়েছেন, সুদূর রাশিয়াতে আওয়াজ না পৌঁছলেও মেসির জন্য জয়ধ্বনি দেব।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.