সুমন করাতি, হুগলি: গীতাপাঠ নিয়ে তোলপাড় বঙ্গ রাজনীতি। ময়দানে লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠের আগে রবিবার সহস্র কণ্ঠে গীতাপাঠের আসর বসল হুগলির মাহেশে। সেখানে আমন্ত্রিত ছিলেন তৃণমূলের একাধিক নেতানেত্রী। কিন্তু বিজেপির কাউকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি বলে খবর। যদিও এই আসর নিয়ে রাজনীতি চাইছেন না আয়োজকরা।
রবিবার দেশ ও রাজ্যের মঙ্গল কামনায় বিশ্বশান্তি যজ্ঞ ও দুই হাজার কন্ঠে গীতাপাঠের আসর বসেছে মাহেশের জগন্নাথ মন্দিরে। বিভিন্ন জেলা থেকে ভক্ত ও গীতাপ্রেমীরা ওই পীঠে অংশ নিয়েছেন। সকালে বিশ্বশান্তি যজ্ঞের পর সকাল ১০টা থেকে শুরু হয় গীতাপাঠ। অনুষ্ঠানের সূচনা করেন পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার। যজ্ঞে বসেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক সুদীপ্ত রায়, প্রাক্তন রাজ্যপাল শ্যামল সেন, জেলাশাসক, মহকুমা শাসক-সহ প্রশাসনের আধিকারিকরা।
গীতাপাঠে আসরে যোগদান প্রসঙ্গে সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমন্ত্রিত ছিলেন। আমাকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী আমাকে তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে আসতে বলেছিলেন। বিশ্বশান্তির জন্য় আয়োজন হয়েছে। তাই যোগ দিলাম।” এর মধ্যে রাজনীতি আনতে চান না সাংসদ। তাঁর কথায়, গত কয়েক মাস ধরেই এই আসরের আয়োজন করা হয়েছে। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। আবার বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের কথায়, “গীতাপাঠের আয়োজন তো ভালো কথা।”
এদিকে মন্দিরের প্রধান সেবায়েত সৌমেন অধিকারী বলেন,”মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মাহেশকে পর্যটন কেন্দ্রের আওতায় আনার পরেই জগন্নাথ মন্দির ও রথের খ্যাতি আরও ছড়িয়েছে। তাই দেশ ও রাজ্যের কল্যাণে এই আয়োজন।” জগন্নাথ জিউ ট্রাষ্টি বোর্ডের সম্পাদক পিয়াল অধিকারী বলেন,”গীতার ১৮টি অধ্যায়ের মধ্যে প্রথম, দ্বিতীয়, দ্বাদশ, পঞ্চদশ ও অষ্টাদশ অধ্যায় পাঠ হবে। সমস্ত ভক্ত ও নাগরিকেরা আগে থেকেই মন্দিরে আসতে শুরু করেছেন। পুলিশ ও প্রশাসন নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.