Advertisement
Advertisement

‘পিকের পরিকল্পনায় সভাস্থলে অ্যাম্বুল্যান্স ঢোকানো হয়েছিল’, দাবি দিলীপের

অভিযোগ দায়েরের পরও অ্যাম্বুল্যান্সে প্রসূতি থাকার বিষয়টি মানতে নারাজ দিলীপ ঘোষ।

MP Dilip Ghosh blames PK for ambulance controversy
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:January 11, 2020 11:28 am
  • Updated:January 11, 2020 11:31 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অ্যাম্বুল্যান্স কাণ্ডের দায় এড়াতে এবার প্রশান্ত কিশোরকে কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। অভিযোগ দায়েরের পরও অ্যাম্বুল্যান্সে প্রসূতি থাকার বিষয়টি মানতে নারাজ তিনি। উলটে তাঁর দাবি, ইচ্ছাকৃত ওইদিন সভাস্থলে অ্যাম্বুল্যান্স প্রবেশ করানো হয়েছিল। গোটা ঘটনাটি ঘটে তৃণমূলের নির্বাচনী স্ট্যাটেজিস্ট প্রশান্ত কিশোরের পরিকল্পনামাফিক। দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করেই দানা বাঁধছে বিতর্ক।

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (CAA) সমর্থনে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে মিছিল করছে বিজেপি। সেই মতো সোমবার কৃষ্ণনগরে মিছিল করে গেরুয়া শিবির। রাজবাড়ি থেকে জেলা প্রশাসনিক ভবন পর্যন্ত মিছিলে হাঁটেন দলীয় নেতা-কর্মীরা। তারপর জেলা প্রশাসনিক ভবনের সামনে একটি সভাও করা হয়। ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সভামঞ্চ থেকে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখছিলেন তিনি। এমন সময় একটি অ্যাম্বুল্যান্স সভাস্থলের কাছাকাছি এসে পৌঁছয়। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, ওই অ্যাম্বুল্যান্সে সেই সময় রোগী ছিলেন। তবে সভার জেরে এলাকায় তীব্র যানজট হওয়ায় রাস্তা দিয়ে অ্যাম্বুল্যান্স যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছিল না। সভায় যোগদানকারী কেউ ওই অ্যাম্বুল্যান্সটিকে রাস্তা ছেড়ে দেওয়ার চেষ্টা করেনি। অ্যাম্বুল্যান্স আটকে পড়ার ঘটনাটি নজর এড়ায়নি বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষেরও। তবে তা সত্ত্বেও অ্যাম্বুল্যান্স যাওয়ার জন্য রাস্তা করে দেওয়ার কোনও উদ্যোগ নেননি। পরিবর্তে তিনি মঞ্চ থেকে বলেন, ‘‘এখান দিয়ে যেতে দেওয়া যাবে না। লোকে রাস্তায় বসে রয়েছে। ডিস্টার্ব হয়ে যাবে। ঘুরিয়ে অন্য দিক দিয়ে নিয়ে যান।’’

Advertisement

[আরও পড়ুন: পারিবারিক বিবাদের জেরে প্রসাদে বিষ মিশিয়ে খুন! মথুরাপুরে মৃত দুই]

ওই দিনের ঘটনা মুহূর্তে সোশ্যাল সাইটে ভাইরাল হয়ে যায়। খবর পেয়েই নড়েচড়ে বসে পুলিশ। খোঁজ নিয়ে পুলিশ জানতে পারে, ওই অ্যাম্বুল্যান্সে ছিলেন এক প্রসূতি। তাঁর নাম মঞ্জিরা বিবি। তিনি নদিয়ার ধুবুলিয়ার বাসিন্দা। সেদিন কৃষ্ণনগর সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তাঁকে। এই ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের হয় দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই বিজেপি সাংসদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অনেকেই। কিন্তু অভিযোগ দায়েরের পরও নিজের অবস্থানে স্থির দিলীপ ঘোষ। তাঁর কথায়, “এ রাজ্যে অ্যাম্বুল্যান্সে করে নেশার দ্রব্য, বোমা পাচার করা হয়। সভা বানচাল করতে ওই এলাকায় ফাঁকা অ্যাম্বুল্যান্সটি পাঠানো হয়েছিল।” পাশাপাশি তাঁর দাবি গোটা ঘটনাটিই পিকে-এর মস্তিষ্কপ্রসূত।

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement