ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, বারাসত: নাগরিকত্ব আইনের সমর্থনে মধ্যমগ্রামে অভিনন্দন যাত্রায় শামিল বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। মিছিল শেষে বারাসতে সভা থেকে নাগরিকত্ব আইনের সমর্থনে সুর চড়ালেন সাংসদ। হিন্দুদের পাশে থেকে সাম্প্রদায়িক তকমা পেতেও রাজি, সাফ জানালেন তিনি।
নাগরিকত্ব বিল আইনে পাশ হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন এলাকায় অভিনন্দন যাত্রার আয়োজন করছে গেরুয়া শিবির। রবিবার মধ্যমগ্রাম থেকে বারাসত পর্যন্ত অভিনন্দন যাত্রার আয়োজন করা হয়। সেই মিছিল শেষে বারাসতের হেলাবটতলা মোড়ে সভায় যোগে দেন সাংসদ দিলীপ ঘোষ। সেখান থেকেই নাগরিকত্ব আইনের সমর্থনে সরব হন তিনি। বলেন, “বছরের পর বছর সব দল ভোটার খুঁজেছে। মানুষকে ভোটার বানিয়ে রেখেছে। কিন্তু নাগরিক বানায়নি। কিন্তু মোদি সরকার উদ্বাস্তুদের নাগরিক করার আশ্বাস দিয়েছিল। আর সেই কথাই রাখছে কারণ, আমরা এক বাপের ব্যাটা।” নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় বিরোধীরা কেন সুর চড়াচ্ছেন তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন দিলীপ। সেইসঙ্গে হিন্দুদের সমর্থন করার জন্য, তাঁদের পাশে থাকার জন্য একশো শতাংশ সাম্প্রদায়িক তকমা পেতেও রাজি এমনটাই জানান তিনি। মুখ্যমন্ত্রী ভোটবাক্সের জন্য নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা করছেন এমনটাও দাবি করেন তিনি। তাঁর কথায়, “নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় রাজ্যে যে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল তাঁর জন্য দায়ী লুঙ্গিবাহিনী। আর মুখ্যমন্ত্রী ভোটের জন্যই তাঁদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন।”
এদিনের সভা থেকে আরও একবার দিলীপ ঘোষ স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন যে, রাজ্যে এনআরসি হবেই। নথি সকলকেই দেখাতেই হবে। কোনও আন্দলনের কারণেই এই আইন বাতিল সম্ভব নয়। পাশপাশি, মুখ্যমন্ত্রী-সহ বুদ্ধিজীবীমহল ও পড়ুয়ারা যারা নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে সুর তুলছেন তাঁদের ঠান্ডা করার উপায়ও জানা আছে বলে একহাত নেন দিলীপ। রাজ্যে ঘটে যাওয়া ধর্ষণের ঘটনা প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীকে নজিরবিহীনভাবে মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করেন তিনি। সেইসঙ্গে আসন্ন নির্বাচনে যে বিজেপির জয় নিশ্চিত ফের তা বুঝিয়ে দিলেন সাংসদ। বিজেপি ২০০ আসন পাবেন বলেই দাবি করলেন তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.