সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: ‘এই তৃণমূল আর না’ এর পালটায় ‘মমতাদি আরেকবার’ স্লোগান তুলেই রবিবাসরীয় প্রচারকে অন্য মাত্রা দিলেন পুরুলিয়ার ‘ডাক্তারবাবু’ তথা তৃণমূল প্রার্থী মৃগাঙ্ক মাহাতো। তাঁর সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ বিভাগের মন্ত্রী সন্ধ্যারানি টুডু-সহ জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব ও কর্মী সমর্থকরা।
নির্বাচনী প্রচারে রাজনৈতিক দলগুলির মূল অস্ত্র প্রতিপক্ষের দোষ, ত্রুটি সকলের সামনে তুলে ধরা। আর সেই প্রচার কতটা আকর্ষণীয় করা যায়, বরাবর সেই প্রচেষ্টাই থাকে দলগুলির। এবারও তার অন্যথা হয়নি। নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পর বিভিন্ন ছড়া,গান, স্লোগানের মাধ্যমে প্রতিপক্ষকে কটাক্ষ করে প্রচার শুরু করেছে সব শিবির। এবার পালটা স্লোগানে পুরুলিয়ার তৃণমূল নেতৃত্ব কটাক্ষের পথেও পা-ই দিল না। ‘এই তৃণমূল আর না’ – স্লোগানের পালটায় রবিবাসরীয় প্রচারে বেরিয়ে তৃণমূল কর্মীরা স্লোগান তুললেন ‘ মমতাদি আরেকবার’, কখনও আবার শোনা গেল ‘দিদিমনি তোমায় চাই।’ ছড়া শুনে রাস্তার দু’পাশে থাকা মানুষজনও তাল মেলান তাতে।
রবিবার সকালে মানবাজারের ইন্দকুড়ি মোড় থেকে শুরু হয় মিছিল। তারপর সেই মিছিল নামো পাড়া, মাঝ পাড়া, চকবাজার, পোষ্ট অফিস মোড় হয়ে বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছায়। তথ্য অনুযায়ী, পুরুলিয়ার মধ্যে এই মানবাজারই তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত। কিন্তু কয়েকদিন আগের গেরুয়া শিবিরের মিছিলের পর তা নিয়ে সংশয় দেখা গিয়েছিল সকলের মনে। কিন্তু এদিনের প্রচারে জনস্রোত কার্যত সেই সংশয় মুছে দিল।
মানবাজার ১ নম্বর ব্লক তৃণমূল নেতৃত্ব জানিয়েছে, তাদের দশটি অঞ্চলের মধ্যে এদিন সাতটি অঞ্চলের কর্মীদের নিয়ে এদিন মিছিল হয়। এ বিষয়ে পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সদস্য গুরুপদ টুডু বলেন, ‘এটা আমাদের পালটা মিছিল নয়। এটা রবিবাসরীয় প্রচার। ভোটের ফলাফলেই সব জবাব মিলবে।’ এদিন মিছিল নিয়েই স্থানীয় মন্দিরে যান তাঁরা। সেখানেও তাঁরা সুর তোলেন, ‘কোচবিহার থেকে কাঁথি/ দু’চাকাতে সবুজ সাথী/ চাই না মোদের বুলেট কার/ মমতাদি আরেকবার।’ অর্থাৎ, কোনওভাবেই প্রতিপক্ষকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে রাজি নয় শাসকদল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.