Advertisement
Advertisement
MP Arjun Singh slams police on Barrackpore shootout

Arjun Singh: ‘৪০ কেজির ভুঁড়ি নিয়ে দুষ্কৃতী কী করে ধরবে?’, বারাকপুর শুটআউট কাণ্ডে পুলিশকে কটাক্ষ অর্জুনের

পুলিশের নজরদারির অভাবে বারাকপুরে শুটআউট বলেই দাবি অর্জুন সিংয়ের।

MP Arjun Singh slams police on Barrackpore shootout । Sangbad Pratidin
Published by: Sayani Sen
  • Posted:May 25, 2023 2:24 pm
  • Updated:May 25, 2023 3:38 pm  

অর্ণব দাস, বারাকপুর: বারাকপুর শুটআউট কাণ্ডে এখনও অধরা দুষ্কৃতী। পুলিশের ভূমিকা নিয়েই এবার প্রশ্ন তুললেন খোদ বারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং। পুলিশের নজরদারির অভাবে এই ঘটনাটি ঘটেছে বলেই দাবি। তাঁর কটাক্ষ, “৪০ কেজির ভুঁড়ি নিয়ে কী করবে?” 

বৃহস্পতিবার সকালে ওই স্বর্ণ ব্যবসায়ীর বাড়িতে যান অর্জুন সিং। যান কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচিও। স্বজনহারাদের বাড়িতেই মুখোমুখি দেখা হয় দু’জনের। ওই স্বর্ণ ব্যবসায়ীর পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। এরপর পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বারাকপুরের সাংসদ। এরপর সাংবাদিকদের সামনে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেন অর্জুন। তাঁর দাবি, “বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের কমিশনারের কাছে সব খবর পৌঁছয় না। নিচুতলার পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে দুষ্কৃতীদের কখনও কখনও আঁতাঁত তৈরি হয়। তাতেই হয়তো এই ঘটনা ঘটেছে। টিটাগড়ে মাঠে পুলিশ গেলে লোক চলে যাচ্ছে। কিন্তু এমন ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। পুলিশ তো ফিল্টার। পুলিশকে ফিল্টার করে দেখতে হবে। কেন ফিল্টার না করে কাজ করবে পুলিশেরা?” অর্জুন আরও বলেন, “অপরাধীদের সরাতে হবে। জেলে ভরতে হবে। নইলে এই ধরনের ঘটনা ঘটবে।” এখন আর আগের মতো পুলিশ এলাকার খোঁজখবর তাঁর থেকে নেন না বলেও ক্ষোভপ্রকাশ করেন অর্জুন সিং।

Advertisement

[আরও পড়ুন: আধুনিক বিজ্ঞানের সব সূত্র এসেছে বেদ থেকেই! দাবি খোদ ইসরো চেয়ারম্যানের]

উল্লেখ্য, বারাকপুরের ১৪ নম্বর রেলগেট সংলগ্ন ওল্ড ক্যালকাটা রোডের ধারেই রয়েছে সিংহ জুয়েলার্স। বুধবার সোনার দোকানে ছিলেন মালিক নীলরতন সিনহা, তাঁর ছেলে নীলাদ্রি এবং অন্যান্য কর্মচারীরা। স্থানীয়রা জানান, সন্ধে ৬টা নাগাদ দু’টি বাইকে করে চারজন এসে দোকানে ঢোকে। তাদের মুখে মাস্ক পরা ছিল। সেই সময় দোকানে অন্য কোনও ক্রেতা ছিল না বলেই খবর। ক্রেতা সেজে তারা প্রথমে সোনার দরদাম শুরু করে। অভিযোগ, তাদের মধ্যে একজন আচমকা আগ্নেয়াস্ত্র বের করে সোনার গয়না দিয়ে দিতে বলে।

দোকানের মালিক রাজি না হলে এক দুষ্কৃতী জোর করে সোনার গয়না বের করার চেষ্টা করে। তখন মালিকের ছেলে নীলাদ্রি বাধা দিলে আরেক দুষ্কৃতী তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। তাঁর কাঁধে বুকে কয়েকটি গুলি লাগে। রক্তাক্ত অবস্থায় ছেলেকে মাটিতে লুটিয়ে পড়তে দেখে নীলরতন দুষ্কৃতীদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। তখন নীলরতনকে লক্ষ্য করেও গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। তার হাঁটুর উপরের অংশে গুলি লাগে। নিরাপত্তারক্ষী দিলীপ সাহা মালিককে বাঁচাতে গেলে তারও পায়ে গুলি চালানো হয়।

দেখুন ভিডিও:

[আরও পড়ুন: বন সহায়ক পদে প্যানেল বাতিলের রায়কে চ্যালেঞ্জ, মামলাই শুনল না হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement