স্টাফ রিপোর্টার: করের ধাক্কায় বেসামাল হল সিনেমা প্রদর্শন শিল্প। রাজ্য সরকারি তরফে কর মকুব করার যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল তা পুরোপুরি মানা হয়নি বলে মঙ্গলবার দাবি করে ‘ইস্টার্ন ইন্ডিয়া মোশন পিকচার্স অ্যাসোসিয়েশন’ (ইম্পা)। এদিন সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্যামল দত্ত, সুভাষ সেন এবং শান্তনু রায়চৌধুরি জানান, আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সরকারকে সময় দেওয়া হচ্ছে। তারপরেও যদি সরকার প্রতিশ্রুতি না রাখে তবে এত দিনের করের পুরো টাকা দর্শকদের কাছ থেকে উসুল করা হবে। অর্থাৎ শহরের সিঙ্গেল স্ক্রিন এবং গ্রামবাংলায় টিকিটের দাম বাড়ানো হবে। কেন এই সিদ্ধান্ত জানতে চাওয়া হলে, ইম্পা—র সভাপতি কৃষ্ণা নারায়ণ দাগা এদিন বলেন, ‘আগে রাজ্য সরকারকে দু’শতাংশ কর দিতে হত। কিন্তু গত বছর ১লা জুলাই কেন্দ্রীয় সরকার জিএসটি চালু করার পর তা এক লাফে বেড়ে দাঁড়ায় আঠারো শতাংশ। সেই সময় রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই মুহূর্তে সরকারকে নয় শতাংশ কর দিলেও পরে সরকারের পক্ষ থেকে সাত শতাংশ করের টাকা ফিরিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু সাত মাস কেটে গেলেও সেই করের টাকা আসেনি। ফলে শহর ও শহরতলির হল মালিকরা বিপুল ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন, তাই ক্ষতিপূরণ হিসেবে চলতি মাস থেকেই বাড়তে পারে সিনেমা হলের টিকিটের দাম।’
[ভয়াবহ দুর্ঘটনা কেড়ে নিয়েছে বন্ধুকে, ছবি হাতে চোখে জল খুদেদের]
হল মালিকদের একাংশ বলছেন, ‘রাজ্য সরকারের কথা শুনে আমরা বিপাকে পড়ে গেলাম। এখন যদি হঠাৎ করে করের জন্য টিকিটের দাম অনেকটা বাড়িয়ে ফেলি, তবে অনেক মধ্যবিত্ত মানুষই আর সিনেমা দেখতে আসবেন না। তাতে পুরনো করের টাকা তো উঠবেই না, এমনকি বর্তমানেও আমাদের ব্যবসা হয়ত লাটে উঠবে।’
‘শহর এবং গ্রামের সিঙ্গেল স্ক্রিনগুলোর মধ্যে কয়েকটা বাদ দিয়ে অনেকগুলোই এখন প্রায় ধুঁকছে। তারমধ্যে যদি এই নতুন করের বোঝা তাঁদের উপর চাপে তবে তাঁরা সেই বোঝা কতদিন বহন করতে পারবে সেটাই এখন দেখার’ জানিয়েছেন একজন সিনেমা বিশেষজ্ঞ।
[৬ বছর পর মিলল আদালতের নির্দেশ, এতদিনে ছেলের মুখ দেখবেন বাবা]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.