রাজা দাস, বালুরঘাট: বঙ্গবাসীর মন জয় আগেই হয়েছে৷ এবার ভিনরাজ্যের বাসিন্দাদের রসনাতৃপ্তি করার পালা৷ কথা হচ্ছে দক্ষিণ দিনাজপুরের নয়াবাজারের দইয়ের৷ বাংলার বিখ্যাত এই দই এবার রপ্তানি করা হবে প্রতিবেশী রাজ্য বিহারে৷ স্বাদে-গন্ধে অতুলনীয় নয়াবাজারের বিখ্যাত দই ভিনরাজ্যে পাড়ি দেওয়ায় গর্বিত ব্যবসায়ীরা৷
খাদ্যরসিক বাঙালির শেষ পাতে দই না হলে ঠিক জমে না। আর দই বলতেই উঠে আসে দক্ষিণ দিনাজপুরের নয়াবাজারের কথা। এখানকার দই খেয়ে সুনাম করেছেন রাজ্যের আমলা থেকে প্রাক্তন ও বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীও। গঙ্গারামপুরের নয়াবাজার এবং তার আশেপাশের সুথল, যাদববাটি, সায়রাপুর, দকলাইন এলাকার অন্তত ৫০জন এই দই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত৷ এলাকার ব্যবসায়ীরা গ্রামের বাড়ি-বাড়ি ঘুরে দুধ সংগ্রহ করেন৷ তারপর তা নয়াবাজারে নিয়ে আসেন। কারিগররা সাধারণত ক্ষীর, খাসা এবং সাধারণ – এই তিন ধরনের দই উৎপাদন করেন। ক্ষীর দইয়ের বর্তমান বাজারমূল্য ২০০ টাকা৷ খাসা দই ১০০ টাকা কেজি দরে এবং সাধারণ দই ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়৷ এছাড়াও স্পেশ্যাল অর্ডার পেলে চন্দ্রচূড় দইও তৈরি করেন ব্যবসায়ীরা। এই ধরনের দই কেজি প্রতি ১০০০ টাকা দরে বিক্রি হয়৷ দক্ষিণ দিনাজপুরের বিখ্যাত দই তিলোত্তমাতেও রপ্তানি করা হয়৷ এবার তা পাড়ি দিতে চলেছে প্রতিবেশী রাজ্য বিহারেও৷
দই ব্যবসায়ী যোগেশ চন্দ্র ঘোষ বলেন, ‘‘আমার পূর্বপুরুষেরা আগে বাংলাদেশের পাবনাতে ছিলেন। সেখানে দুধের আমদানি ছিল অনেক। তৈরি করা হত ঘি৷ বাকিটা ফেলে না দিয়ে দই তৈরি করা শুরু হয়।’’ শক্তি ঘোষ নামে আরেক ব্যবসায়ী বলেন,‘‘ভিন্ন পদ্ধতিতে তৈরি হওয়া নয়াবাজারের দই স্বাদে সম্পূর্ণ আলাদা৷ তাই চাহিদাও বেশি৷’’ নয়াবাজারের দই বিহারে পাড়ি দেওয়ায় খুশি ব্যবসায়ীরা৷ আর্থিক লাভ আরও বাড়বে বলেও আশাবাদী তাঁরা৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.