সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গল্পের বইয়ের পাতায় এমন ভৌতিক ঘটনার কথা অনেকেই পড়েছে। গোরস্থান কিছুতেই পাপীদের কবর নিতে চায় না। ফলে যতবারই মাটির নিচে পোঁতা হয় মৃতদেহ, ততবার ফিরিয়ে দেয় গোরস্থান। কিন্তু বাস্তবেও এমন ঘটনা ঘটে! বিজ্ঞানমনস্ক, নাস্তিকেরা বলবেন ডাহা মিথ্যে কথা। আবার যাদের মনে কুসংস্কার উঁকিঝুঁকি মারে, তারা প্রণাম ঠুকে ভগবানের নামজপ করবে।
এসব তর্ক চলতেই থাকবে। কিন্তু এমন ‘ভূতুড়ে কাণ্ড’ সত্যিই ঘটেছে। আর ঘটেছে এই বাংলার বুকেই। সিউড়ির গোরস্থানের এই ‘ভূতুড়ে কাণ্ডে’ দিশেহারা এলাকার মানুষ। কিছুদিন আগে পর্যন্ত ভূতের এমন কাণ্ডকারখানায় কাঁটা হয়ে থাকতেন সিউড়িবাসী। আর হবে নাই বা কেন? যখন তখন যদি মৃতদেহ মাটি ছেড়ে উঠে আসবে, তা ভয়ের কথা বই কি! না জানি কখন কি অঘটন ঘটে যায়।
অভিশপ্ত ওই কফিনকে একাধিকবার কবরস্থ করার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু প্রতিবারই হতাশ হতে হয়েছে তাদের। যতবারই মাটিচাপা দেওয়া হয়, ততবারই উঠে আসে কফিন। হাজার চেষ্টা করেও কফিন গোর দেওয়া যায়নি। কিন্তু এরপরই শুরু হয় অনুসন্ধান। কট্টর বাস্তববাদীরা এমন ভৌতিক কাণ্ড মেনে নিতে নারাজ। তাই সত্যান্বেষীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হন কয়েকজন। তখনই ফাঁস হয় আসল রহস্য।
জানা যায় প্রবল বৃষ্টির কারণে জলস্তর বেড়ে যায়। তাতেই ঘটে এমন লৌকিক-অলৌকিকের ঘটনা। ওই কফিনটি গোর দেওয়ার জন্য যে অংশ খোঁড়া হয়েছিল, তাতে বৃষ্টির জল জমেই যত বিপত্তি। বৃষ্টির জল বের হওয়ার জন্য ওখানে ঠিকমতো নিকাশি ব্যবস্থা ছিল না। ফলে ক্রমাগত জল জমতে থাকে সেখানে। জলের কারণেই কফিন বারবার ওপরে ভেসে উঠছিল। শেষে কফিনের ওপরে উঠে সেটি কবরস্থ করা হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ, এই গোরস্থানের ঠিকমতো রক্ষণাবেক্ষণ হয় না। ফলে এমন ঘটনা ঘটেছে। ঘটনায় চার্চের দিকে আঙুল তুলেছেন স্থানীয়রা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.