ছবি: প্রতীকী
দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: পরিবারের আশা ছিল ছেলে হবে। কিন্তু, তাদের সেই আশা ধূলিসাৎ করে পরপর দুটি মেয়ের জন্ম দিয়েছিলেন বাড়ির বউ। তা থেকে তৈরি হওয়া মানসিক টানাপোড়েনের জেরে নিজের তিন মাসের কন্যা সন্তানকে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ উঠল এক মহিলার বিরুদ্ধে। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা (South 24 pargana)’র গোসাবা থানার মথুরাখণ্ড এলাকায়। মৃত শিশুর নাম অমৃতা পাত্র।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত পূরবী ও জিতেন পাত্রের বিয়ে হয়েছিল বছর আটেক আগে। দুবছর বাদে তাঁদের একটি কন্যাসন্তান হয়। মাস তিনেক আগে ফের আর একটি কন্যাসন্তান প্রসব করে পূরবী। আর জন্মের পর থেকেই ওই সন্তানের প্রতি দুর্ব্যবহার শুরু করে। চলতে থাকে অযত্ন। ঠিকঠাক খাবার দিত না বলেও অভিযোগ প্রতিবেশীদের। বুধবার সকালে স্বামী জিতেন পাত্র বাজারে গিয়েছিলেন। সেই সুযোগে পূরবী মুখে বালিশ চাপা দিয়ে একরত্তি ওই শিশুকন্যাকে খুন করে। বাজার থেকে বাড়ি ফিরে এই ঘটনার কথা শুনে হতবাক হয়ে পড়েন জিতেন। পরে প্রতিবেশীরা খবর দেন গোসাবা ((Gosaba) থানার পুলিশকে। এরপর ঘটনাস্থলে এসে ওই দম্পতিকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর পূরবীকে গ্রেপ্তার করে মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় তারা।
পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তের স্বামী পেশায় দিনমজুর। পরিবারের আয় তেমন রোজগারও ছিল না। লকডাউনের ফলে পরিবারের অভাবও বাড়ছিল। এর জেরে তৈরি হওয়া মানসিক অবসাদের কারণে অভিযুক্ত এই কাণ্ড ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। তবে নিজের সন্তানকে খুনের বিষয়ে এখনও পর্যন্ত মুখ খোলেনি পূরবী।
যদিও এই বিষয়ে তার স্বামী জিতেন পাত্র বলেন, ‘দ্বিতীয়বার মেয়ে হওয়ার পর থেকেই প্রচণ্ড মানসিক অবসাদে ভুগছিল পূরবী। আমি অনেক বুঝিয়েছিলাম। কিন্তু, এই রকম ঘটনা ঘটে যাবে তা কখনও বুঝতে পারিনি।’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.