ছবি: প্রতীকী
মনিরুল ইসলাম, উলুবেড়িয়া: অ্যাম্বুল্যান্সের ধাক্কায় মৃত্যু হল মা ও মেয়ের। হাওড়ার উলুবেড়িয়ার (Uluberia) জগৎপুর জোড়াকলতলায় ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কের ঘটনা। শনিবার সাতসকালে পথ দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার। দুর্ঘটনার পর টায়ার জ্বালিয়ে জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন স্থানীয়রা। জাতীয় সড়কে বন্ধ হয়ে যায় যানচলাচল। ভোগান্তির শিকার হন যাতায়াতকারীরা। দীর্ঘক্ষণ পর লাঠিচার্জ করে বিক্ষোভকারীদের হঠিয়ে দেয় পুলিশ। অবরোধ উঠে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়।
মেয়ে টুসুকে বৃত্তি পরীক্ষা দিতে নিয়ে যাওয়ার জন্য শনিবার ভোরবেলা বাড়ি থেকে বেরন গৃহবধূ অপর্ণা। গন্তব্য বাগনান। জাতীয় সড়কের পাশে জোড়া কলতলায় মা ও মেয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, অত্যন্ত দ্রুত গতিতে আসা একটি অ্যাম্বুল্যান্স (Ambulance) প্রথমে এক সাইকেল আরোহীকে ধাক্কা মারে। এরপর জাতীয় সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা মা ও মেয়েকে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় মা ও মেয়ের। তবে সাইকেল আরোহী জখম হন। তাঁকে উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে ভরতি করা হয়। সেখানেই আপাতত সাইকেল আরোহীর চিকিৎসা চলছে। চিকিৎসকরা জানান, ওই সাইকেল আরোহীর শারীরিক অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল।
উত্তেজিত জনতা অ্যাম্বুল্যান্সটিকে দাঁড় করায়। অ্যাম্বুল্যান্সে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। এরপর মা ও মেয়ের মৃতদেহ নিয়ে জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন উত্তেজিত জনতা। প্রায় আড়াই ঘণ্টারও বেশি সময় পরেও মৃতদেহ তুলতে বাধা দেন তাঁরা। অবরোধকারীদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় সড়ক সংলগ্ন জোড়াকলতলায় আন্ডারপাসের দাবি জানানো হয়েছে। তা সত্ত্বেও প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তিরা সেসব বিষয়ে মাথা ঘামাননি বলেই অভিযোগ। আন্ডারপাস থাকলে এমন বিপদ হত না বলেই দাবি তাঁদের।
এদিকে, জাতীয় সড়কে অবরোধের প্রভাব পড়েছে যান চলাচলেও। কারণ, জাতীয় সড়কে তৈরি হয়েছে তীব্র যানজট। একের পর এক বাস, লরি, অন্যান্য ছোট গাড়ি আটকে গিয়েছে। উলুবেড়িয়া, ধূলাগোড়ের বাসিন্দাদের কলকাতায় আসাযাওয়ার ক্ষেত্রে ১৬ নম্বর জাতীয় সড়ক (NH 16) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর সেই জাতীয় সড়কই অবরুদ্ধ থাকায় চরম বিপাকে নিত্যযাত্রীরা। কীভাবে নির্দিষ্ট সময় গন্তব্যে পৌঁছবেন তাঁরা, তা নিয়ে চিন্তায় পথচলতিরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.