ছবি: প্রতীকী
বিপ্লবচন্দ্র দত্ত, নদিয়া: করোনার (Coronavirus) প্রাণঘাতী হানায় মৃত্যু হয়েছে গৃহকর্তার। দেহ সৎকার সেরে ফিরে আসার পর প্রতিবেশীরা তাঁর স্ত্রী ও মেয়ের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। আপনজনের মৃত্যুর শোক সামলাতে না পেরে তাঁরা আত্মঘাতী হয়েছেন বলেই মনে করা হচ্ছে। নদিয়ার (Nadia) কল্যাণী পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের বুদ্ধপার্কের ঘটনা। তবে এর পিছনে অন্য কোনও কারণ আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
বুদ্ধপার্কের দীর্ঘদিনের বাসিন্দা বাবুল দাস। বছর বাষট্টির ওই প্রৌঢ়ের স্ত্রী এবং একমাত্র মেয়েকে নিয়েই সংসার। প্রতিবেশীদের দাবি, সেভাবে কারও সঙ্গে মিশতেন না তাঁরা। বরাবর নিজেদের মতোই থাকতেন। সপ্তাহ খানেক আগে তিনি করোনায় আক্রান্ত হন। প্রতিবেশীদের জানিয়েছিলেন বাবুলবাবুর স্ত্রী। স্বামীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে কল্যাণী এমজে এন হাসপাতালে ভরতি করা হয়। তাও সকলেই জানতেন। তবে শেষরক্ষা হয়নি। রবিবারই মৃত্যু হয় তাঁর। প্রতিবেশীদের মারফত পুরসভায় খবর দেওয়া হয়। দেহ বিশেষ ব্যবস্থায় শ্মশানে নিয়ে যাওয়ার বন্দোবস্ত করা হয়। প্রতিবেশীরাও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন।
রবিবার দেহ নিয়ে যাওয়ার সময় শোকে দুঃখে কার্যত মানসিক ভারসাম্যহীনের মতো করতে থাকেন বাবুল দাসের স্ত্রী দীপা এবং মেয়ে জয়া। “বাবার সৎকার যেন ভালভাবে হয়”, শ্মশানে দেহ নিয়ে যাওয়ার সময় প্রতিবেশীদের জানিয়েছিলেন জয়া। দেহ সৎকারের পর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ফিরে আসেন প্রতিবেশীরা। এসে দরজা ধাক্কা দেন তাঁরা। তবে কোনও সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি। বাধ্য হয়ে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকেন প্রতিবেশীরা। দেখেন ঘরেই ঝুলছে কোভিডে মৃত বাবুল দাসের স্ত্রী ও মেয়ের দেহ। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, স্বজনহারায় যন্ত্রণায় আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন তাঁরা। তবে মৃত্যুর নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.