ছবি: প্রতীকী
কল্যাণ চন্দ, বহরমপুর: দেড় মাসে শিশুকন্যাকে গলা কেটে খুনের অভিযোগ উঠল মায়ের বিরুদ্ধে। নৃশংস
এই ঘটনার সাক্ষী মুর্শিদাবাদের রঘুনাথপুর। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত বধূকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃত মহিলা অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছে বলেই দাবি পুলিশ আধিকারিকদের। কিন্তু কেন এই নৃশংতা? উত্তর খুঁজছে পুলিশ।
মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বহরমপুর থানার রঘুনাথপুরের (Raghunathpur) বাসিন্দা ওই বধূর নাম চৈতালি মণ্ডল। বছর পাঁচেক আগে এলাকারই বাসিন্দা পেশায় রাজমিস্ত্রী বিভাস মণ্ডলের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। সুখেই চলছিল তাঁদের সংসার। চলতি বছরে অন্তঃসত্ত্বা হয় চৈতালি। সেই থেকে বাপের বাড়িতেই ছিল সে। মাস দেড়েক আগে একটি ফুটফুটে কন্যা সন্তানের জন্ম দেয় ওই বধূ। কিন্তু শ্বশুরাড়িতে ফেরেননি তিনি। জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকালে সকলের নজর এড়িয়ে আচমকা মেয়েকে নিয়ে বাথরুমে চলে যায় চৈতালি। অভিযোগ, হাঁসুয়া দিয়ে মেয়েকে এলোপাথারি কোপাতে থাকে সে। খুদের কান্না শুনে পরিবারের সদস্যরা বাথরুমে ছুটে গিয়ে ভয়ংকর দৃশ্য দেখতে পান। দেখেন, বাথরুমের মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে শিশুটি। পাশে বসে চৈতালি।
সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় পুলিশ। তাঁরা দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার করা হয় চৈতালিকে। পুলিশের দাবি, খুনের কথা স্বীকারও করে নিয়েছে সে। জানা গিয়েছে, চৈতালি আংশিক মানসিক ভারসাম্যহীন। সন্তানকে খুনের পর নিজেকেও শেষ করে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল তার। পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে চৈতালিকে। কেন মেয়ের উপর ক্ষোভ জন্মেছিল তার? মেয়ে হওয়ার কারণেই এই নির্মম পরিণতি হল খুদের? নাকি নেপথ্যে লুকিয়ে অন্য কারণ, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.