ব্রতীন দাস: পাহাড়ে বনধের প্রথম দিনেই বেকায়দায় পড়েছিলেন গুরুংরা। সরকারি সমস্ত অফিসে হাজিরা ছিল নজরকাড়া। সে পরিস্থিতি বদলাতে দ্বিতীয় দিনে বেশ খানিকটা সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করলেন মোর্চা সমর্থকরা। বেরল মিছিল। পুলিশকে লক্ষ্য করে চলে ইটবৃষ্টি। জমায়েত ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ পাল্টা লাঠিচার্জ করেছে বলেও অভিযোগ।
[ রাজ্যে উদ্ধার ৪০ কোটি টাকার বিরল অষ্টধাতুর মূর্তি ]
এদিন চা বাগানের ধর্মঘটকে সমর্থন করেই পাহাড় অচল করার উদ্দেশ্য ছিল মোর্চার। পরিকল্পনামাফিক গতকাল রাতেই চকবাজার এলাকায় রটিয়ে দেওয়া হয়, মঙ্গলবার কোনও গাড়িঘোড়া চলবে না। তা শুনেই বহু পর্যটক ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। যাঁরা বিকেলে এসেছিলেন তাঁরা অবশ্য থেকেই যান। আজ ভোর তিনটেয় জেগে ওঠে দার্জিলিং। হোটেল থেকে পর্যটকরা বেরতে শুরু করেন। সকাল ছ’টায় বনধ শুরু হওয়ার আগেই অনেকে সমতলে নেমে আসার চেষ্টা করেন। বেলার দিকে জেলাশাসকের দিকে মিছিল করে যায় মোর্চা সমর্থকরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে উপস্থিত ছিলেন খোদ এসপি। মিছিল আটকানোর সময় পুলিশ লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ উঠেছে। অন্যদিকে মোর্চার পিকেটিং থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয় বলেও অভিযোগ। সব মিলিয়ে মোর্চার প্ররোচনায় ধুন্ধুমার বাধে পাহাড়ে।
এদিকে আজও টয় ট্রেন বন্ধ। ফলত কার্যত ঘরবন্দি হয়েই থাকেন পর্যটকরা। চা বাগানের কাজ পুরোপুরি বন্ধ থাকলেও সরকারি অফিসে আজও আগের দিনই মতো কর্মীরা এসেছেন, স্কুল ও কলেজও খুলতে দেখা গিয়েছে। বাগডোগরা বিমানবন্দরও সকাল পাঁচটাতেই খুলে গিয়েছে। বিজনবাড়ি বিডিও অফিসে আগুন লাগানোর ঘটনায় ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে মোর্চা নেতা ও জিটিএ সভাসদ সতীশ পোখরেলকে। গতকাল দিনভর পলাতক ছিলেন তিনি। সন্ধেবেলা তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মঙ্গলবার জিমখানা ক্লাবে সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছে মোর্চা। যদিও গুরুংয়ের আন্দোলনকে সমর্থন জানাচ্ছেন না হরকা বাহাদুর ছেত্রী। তাঁর দল এই বৈঠকে অংশ নিচ্ছে না। থাকছে না মদন তামাংয়ের অখিল ভারতীয় গোর্খা লিগও। গুরুংয়ের আন্দোলন পাহাড়ে ব্যুমেরাং হবে বলেই জানিয়েছেন হরকা বাহাদুর ছেত্রী। তাঁর অভিযোগ, পাহাড়ের মানুষের আবেগ নিয়ে প্রতারণা করছেন গুরুং।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.