Advertisement
Advertisement

মনুয়াকে ফোনে স্বামীর চিৎকার শোনাতে এই নৃশংস কাজটি করে অজিত

দিনদুপুরেই নিত্যনতুন পুরুষবন্ধুদের সঙ্গে মদ্যপান করে হইহুল্লোড় করত মনুয়া৷

Monua was listening to her husbands fatal cry: Investigators
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:May 22, 2017 5:24 am
  • Updated:May 22, 2017 5:27 am  

ব্রতদীপ ভট্টাচার্য: অনুপমকে মারতে লোহার রড দিয়ে পিটিয়েছিল অজিত৷ সে ঘটনার ‘লাইভ টেলিকাস্ট’ ফোনে শুনেছিল মনুয়া৷ এ তথ্য আগেই দিয়েছে পুলিশ৷ তবে এবার যা জানা যাচ্ছে তা আরও রোমহর্ষক৷ মনুয়াকে তার স্বামীর আর্তনাদ শোনানোর জন্য লোহার রডটি অনুপমের মুখে ঢুকিয়ে খোঁচায় অজিত৷ তার পর হাতের শিরা কেটে দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে৷

[স্কুলে ‘গীতা’ বাধ্যতামূলক করতে সংসদে বিল আনছেন বিজেপি সাংসদ]

বারাসতের ‘লাইভ মার্ডার কাণ্ড’-র তদন্ত যত এগোচ্ছে এমনই আরও হাড় হিম করা তথ্য উঠে আসছে৷ যা শুনে সাধারণ মানুষ তো বটেই, দুঁদে পুলিশ অফিসারদেরও রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছে৷ পুলিশ সূত্রে খবর, জেরায় অজিত জানিয়েছে, সুপারি কিলারকে নিয়ে ঘরের মধ্যে ঘাপটি মেরে বসে ছিল সে৷ অনুপম ঢুকতেই অতর্কিতে হামলা চালায়৷ রডের আঘাতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন অনুপম৷ মুখ থেকে অস্ফুট শব্দ বেরিয়ে আসে৷ অজিতের ফোন থেকে গোটা ঘটনার লাইভ টেলিকাস্ট শুনছিল অনুপমের স্ত্রী মনুয়া৷ তবে সেই অস্ফুট চিৎকার তার কানে যায়নি৷ অজিতকে সে বলে, “চেঁচাচ্ছে না কেন?” তারপর স্বামীর মৃত্যু নিশ্চিত করতে নিজেই নির্দেশ দেয় মনুয়া৷ তার কথামতো লোহার রডটি অনুপমের মুখে ঢুকিয়ে খোঁচাতে শুরু করে অজিত৷ যন্ত্রণায় শেষবারের মতো একবার আর্তচিৎকার করে অনুমপ৷ সেই চিৎকার শুনে ‘শিওর’ হয় মনুয়া৷ তারপর অনুপমের হাতের শিরা কেটে শেষ কোপটা মারে অজিত৷ পুরো ঘটনাটা ফোনে শোনার সময় একবারও গলা কাঁপেনি মনুয়ার৷ জেরায় ভেঙে পড়ে অজিত পুলিশকে একথা জানিয়েছে৷

Advertisement

অজিতই জানিয়েছে, সে ছাড়াও একাধিক পুরুষ সঙ্গী আছে মনুয়ার৷ হৃদয়পুরের অনুপমের প্রতিবেশীরাও একই কথা বলছেন৷ ফি দুপুরে নিজের স্কুটির পিছনে বসিয়ে এক-একদিন এক-একজনকে বাড়িতে নিয়ে আসত ওই গৃহবধূ৷ অনুপম বাড়ি ফেরার আগে তারা চলে যেত৷ রাজনৈতিক উপর মহলে চেনাজানা থাকার সুবাদে মনুয়াকে ঘাঁটাতেন না প্রতিবেশীরা৷ তবে সম্প্রতি ফুর্তির মাত্রা বাড়াবাড়ি পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল৷ দিনদুপুরেই মদ্যপান করে হইহুল্লোড় করত মনুয়ারা৷ সেই আওয়াজেই অতিষ্ঠ হয়ে প্রতিবাদ করার কথা ভেবেছিলেন প্রতিবেশীরা৷ তবে প্রয়োজন হয়নি৷ তার আগেই জেলে চলে গেল মনুয়া৷ বাপের বাড়ির পাড়াতেও মনুয়ার ‘রেপুটেশন’ একই৷ বিয়ের আগেও সারাদিনই বিভিন্ন পুরুষসঙ্গী নিয়ে স্কুটিতে চড়ে বেড়াত৷ অন্ধকার, নির্জন অলি-গলিতেই তার বেশি বিচরণ ছিল৷ গত ২২ জানুয়ারি ঘটা করে প্রথম বিবাহবার্ষিকী অনুষ্ঠিত হয়েছিল মনুয়া ও অনুপমের৷ পাড়া প্রতিবেশীরা সেদিন মনুয়াকে দেখে কেউ ভাবতেই পারেননি চার মাসের মাথায় এমন নৃশংস ঘটনা ঘটাবে সে৷

[রাজ্যসভায় তৃণমূলের প্রার্থী হচ্ছেন মানস-শান্তা, রয়েছেন ডেরেকও]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement