সুব্রত বিশ্বাস: পুজো শেষ লগ্নে এসে পৌঁছলেও লোকাল ট্রেন চালানোর কোনও সিদ্ধান্ত এখনও নেওয়া হল না। রাজ্যের তরফে কোনও রকম সাড়া না পাওয়ায় রেল পদক্ষেপ করতে পারছে না। লোকাল ট্রেন না চলায় স্টেশনগুলি কার্যত ফাঁকা। এই পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে দূরপাল্লার স্পেশাল ট্রেনগুলিতে হাওলার টাকা আদান প্রদান হচ্ছে বলে খবর। পুজোর মধ্যে হাওড়া স্টেশনের ১৪ নম্বর প্লাটফর্ম থেকে পঁচাত্তর লক্ষ টাকা উদ্ধার করেছে আরপিএফ।
এদিকে ট্রেন চালানো নিয়ে অনিশ্চয়তা তুঙ্গে উঠেছে। এ নিয়ে নবমীর দিন বিকেলে শিয়ালদহের ডিআরএম এসপি সিং বলেন, “রাজ্যের অনুমতি না পাওয়া গেলে ট্রেন চালানো সম্ভব নয়। রাজ্য এখনও পর্যন্ত রেলের সঙ্গে কোনও কথা বলেনি। ফলে পুজোর পরে কবে থেকে নিশ্চিতভাবে লোকাল ট্রেন চলবে তা বলা সম্ভব নয়। ফলে এখন অনিশ্চিত লোকাল ট্রেন চালানোর বিষয়টি।”
লোকাল ট্রেন না চলায় জনজীবন বিপর্যস্ত। সাধারণ মানুষ কাজে যেতে পারছেন না। হাজার-হাজার হকারের পরিবার বিপর্যয়ের মুখে পড়েছেন। লোকাল ট্রেন না চালায় স্টেশনগুলি কার্যত ফাঁকা। এই পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে দূরপাল্লার স্পেশ্যাল ট্রেনগুলিতে হাওলার টাকা আদান-প্রদান হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। পুজোর মধ্যে হাওড়া স্টেশনের ১৪ নম্বর প্লাটফর্ম থেকে পঁচাত্তর লক্ষ টাকা উদ্ধার করেছে আরপিএফ।
দু’টি দাবিহীন ব্যাগ থেকে টাকা উদ্ধারের পাশাপাশি সোনার চেন উদ্ধার হয়। আরপিএফ কর্তাদের ধারণা, পাটনা জনশতাব্দী ট্রেনে টাকাগুলো হাওড়া আনা হয়। কলকাতা পাচার হচ্ছিল। সম্ভবত হাওলার টাকা। আরপিএফ দেখে ব্যাগ ফেলে পালিয়ে যায় পাচারকারীরা। উদ্ধার হওয়া টাকা ও গয়না আরপিএফ হেফাজতে রাখা হয়েছে। যা পুজোর পর আয়কর দপ্তরের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে তারা জানান।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.